Indian Cricket: সিরাজকে উদাহরণ, ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে তোপ সুনীল গাভাসকরের
IND vs ENG Test Series: ইংল্য়ান্ড সফর শুরুর আগেই জানানো হয়েছিল, সিরিজে মাত্র তিনটে ম্যাচে খেলানো হবে জসপ্রীত বুমরাকে। সেই মতো তাঁকে তিন টেস্টেই খেলানো হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই।

ইংল্য়ান্ড সফর শেষ। দেশে ফিরলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তবে ওভাল টেস্টের রেশ কাটেনি। বিশেষ করে ম্যাচের শেষ দিন মহম্মদ সিরাজের পারফরম্যান্স। যা ম্যাচ এবং সিরিজের ফলও নির্ধারণে ভূমিকা নিয়েছে। পুরো সিরিজেই খেলেছেন মহম্মদ সিরাজ। সব মিলিয়ে প্রায় ১৮৭ ওভার। ক্লান্তি প্রসঙ্গ আসতেই সিরাজ জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও ক্লান্তিই আসেনি। তার কারণ, প্রতিটা ডেলিভারি দেশের হয়ে করেছেন। ইংল্য়ান্ড সফর শুরুর আগেই জানানো হয়েছিল, সিরিজে মাত্র তিনটে ম্যাচে খেলানো হবে জসপ্রীত বুমরাকে। সেই মতো তাঁকে তিন টেস্টেই খেলানো হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই। এ বার সিরাজের উদাহরণ দিয়ে তোপ কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরের।
ওভালে শেষ ম্যাচে ছিলেন না বুমরা। একাদশে না থাকলেও সাধারণত কেউ স্কোয়াড ছাড়েন না। বুমরাকে শেষ টেস্ট চলাকালীন স্কোয়াড থেকে রিলিজ করে দেওয়া হয়। পরে বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছিলেন, ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নয়, চোটের কারণে খেলানো হয়নি জসপ্রীত বুমরাকে। দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের মতে, সিরাজের এই পারফরম্যান্সের পর ভারতীয় বোর্ডের অভিধান থেকে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট শব্দটি উড়িয়ে দেওয়া উচিত। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছেন, বুমরাকে নিয়ে তাঁর এই মন্তব্য নয়।
সিরাজের প্রসঙ্গ টেনে সুনীল গাভাসকর বলেন, ‘যখন দেশের হয়ে খেলছো, ব্যথা-চোট এসব ভুলে যেতে হবে। কী মনে হয় সীমান্তে সেনাকর্মীরা কখনও অভিযোগ করে, কতটা ঠান্ডা? ঋষভ পন্থ যেভাবে নামল, সেটা কীসের উদাহরণ? পায়ে চোট নিয়েও ব্যাটিংয়ে নেমেছিল। এটাই একজন খেলোয়াড়ের মানসিকতা হওয়া উচিত। দেশের হয়ে খেলা মানেই সম্মানের বিষয়।’
প্রাক্তন অধিনায়ক আরও বলেন, ‘মহম্মদ সিরাজকেই দেখুন, আমার মনে হয় ও জানপ্রাণ দিয়ে বোলিং করেছে। ওয়ার্কলোডের বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। পাঁচ টেস্টে ৭-৮ ওভারের স্পেল করেছে কারণ, ক্যাপ্টেন এবং দেশ তার থেকে এই প্রত্যাশা করেছিল।’
