কলকাতা: বছর ১৩ আগে আইপিএলের ফাইনালে মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) যা করেছিলেন, তা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের (Ravichandran Ashwin) ভাবনার বাইরে ছিল। আর কয়েকদিন পর শুরু হবে ১৭তম আইপিএল। তার আগে অতীতে ফিরে গেলেন অশ্বিন। মহেন্দ্র সিং ধোনি কখন কী ভাবেন? তা অন্য কেউ ভেবে উদ্ধার করতে পারেন না। ২০১১ সালের আইপিএল ফাইনালে সকলকে চমকে দিয়ে তরুণ অফ স্পিনার অশ্বিনের হাতে নতুন বল তুলে দিয়েছিলেন ধোনি। বল হাতে ক্রিস গেইলকে ফিরিয়েছেন অশ্বিন। মাহি যে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নেননি, তা প্রমাণিত হয়েছিল। সম্প্রতি তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অশ্বিনকে বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন অশ্বিন। জানান, তিনি আজীবন ধোনির কাছে ঋণী হয়ে থাকবেন।
২০১০ ও ২০১১ সালে চেন্নাই সুপার কিংস টিমের হয়ে আইপিএল জিতেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সম্প্রতি ১০০টি টেস্ট ম্যাচ খেলা এবং ওই ফর্ম্যাটে ৫০০টি উইকেট নেওয়া অশ্বিন তাঁর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাহির কথা উল্লেখ করেছেন। আবেগতাড়িত অশ্বিন বলেন, ‘আমি ঠিক কেমন অনুভব করি, তা প্রকাশ করার জন্য সাধারণত তেমন কোনও শব্দ খুঁজে পাই না। এই অনুষ্ঠানে এসে ভীষণ গর্ববোধ হচ্ছে।’ এতটা পথ পেরিয়ে আসার জন্য অশ্বিন কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ধোনিকে। তাঁর কথায়, ‘২০০৮ সালে আমি সিএসকে ড্রেসিংরুমে কিংবদন্তিদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলাম। ম্যাথু হেডেন, মহেন্দ্র সিং ধোনিরা সেখানে ছিল। ২০০৮ সালে আমি কোনও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি। যে টিমে মুথাইয়া মুরলীধরন ছিল, সেখানে আর আমি সুযোগ পেতামই বা কী করে। ওই সময় আমাকে ভরসা দেয় ধোনি। যে কারণে আমি আজীবন ওর কাছে ঋণী থাকব। ধোনি আমাকে নতুন বলে ক্রিস গেইলের বিরুদ্ধে বল করার সুযোগ পেয়েছিলাম। ১৭ বছর পর অনিল ভাই যেটা নিয়ে কথাও বলেছে।’
ধোনি যদি ২০১১ সালের আইপিএল ফাইনালে অশ্বিনের উপর নতুন বল তুলে দেওয়ার সাহস না দেখাতেন, তা হলে হয়তো ক্রিস গেইলের উইকেট আসত না অফ স্পিনারের ঝুলিতে। অশ্বিনের ক্রিকেট জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে তাঁকে যাঁরা সাহায্য করেছেন, বরাবরই তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এখনও সুযোগ পেলেই, জাতীয় দলের ডিউটি না থাকলে তামিলনাড়ুর হয়ে এবং ক্লাব ক্রিকেটে খেলেন অশ্বিন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই জাগয়া আমাকে যা দিয়েছে, তার জন্য আমি বার বার এখানে ফিরে আসতে চাই। আমাকে অনেকে জিজ্ঞাসা করে আপনি কেন এখানে বার বার ফিরে আসেন? আগামিকাল আমি হয়তো বেঁচে থাকব না, কিন্তু আমার আত্মা এই জায়গার চারপাশে ঘুরবে। এই জায়গার গুরুত্ব আমার কাছে ঠিক এতটাই।’