কেপটাউন: এতটা কাছ থেকে ফিরে আসা। এই ঘটনা নতুন নয়। আইসিসি টুর্নামেন্টে এক বারও চ্যাম্পিয়ন হয়নি ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। এখন অবশ্য সিনিয়র কথাটা যোগ করতে হবে। অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের উদ্বোধনী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। সিনিয়র দলের দুই ক্রিকেটারও চ্য়াম্পিয়ন দলের সদস্য়। একজন আবার নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু সিনিয়র দলে চাপের ম্যাচে কোথাও যেন হারিয়ে যান তিনি। ২০২০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে শেফালি ভার্মা ছিলেন নতুন প্লেয়ার। ফাইনালে অ্য়ালিসা হিলির ক্য়াচ ফেলেছিলেন। নতুন হওয়ায় তখন অন্তত তাঁকে নিয়ে বেশি সমালোচনা হয়নি। প্রায় তিন বছর হয়ে গিয়েছে। শেফালি ভার্মা এখন সব ফরম্য়াটেই সিনিয়র দলে নিয়মিত। এ বারও একটা ক্যাচ মিস। যা খুবই দামী হয়ে দাঁড়াল। হরমনপ্রীত কৌর, জেমাইমাদের চেষ্টা পূর্ণতা পেল না। আরও এক বার আইসিসি টুর্নামেন্ট থেকে খালি হাতেই ফিরছে ভারত। সেমিফাইনালে হারের পর কী বললেন অধিনায়ক হ্য়ারি? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ক্রিজ অবধি পৌঁছে গিয়েছিলেন হরমনপ্রীত কৌর। টুর্নামেন্টে তাঁর ব্য়াটে রান আসেনি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আয়ার্ল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর মন্থর ব্য়াটিং নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। সেমিফাইনালের মঞ্চে জ্বলে উঠলেন। রানের জন্য় মরিয়া ছিলেন। সহজেই ২ রান হয়। হ্য়ারি পৌঁছেও পৌঁছতে পারলেন না। ব্য়াট ঘসে ঢুকতে চেয়েছিলেন ক্রিজে। কিন্তু তা আটকে যায়। যতক্ষণে ঢুকলেন, অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। মাঠ ছাড়ার সময় ব্য়াট ছুড়ে দিলেন রাগে। ডাগআউটে সকলেই হতাশ। ড্রেসিংরুমে ঢোকার সময় আবারও ব্য়াটের উপর রাগ দেখালেন। কিন্তু কী লাভ! খেলা শেষে চোখে জল নিয়ে হ্য়ারি বলেন, ‘জীবনে কখনও এর চেয়ে আনলাকি মনে হয়নি।’
অনেকটা সফর। তাঁর নেতৃত্বে ২০১৮ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছে ভারত। গত বিশ্বকাপে ফাইনাল। বার্মিংহ্য়াম কমনওয়েলথ গেমসেও ফাইনাল। প্রতি বারই খালি হাতে ফেরা। এ বার অনেকটা কাছ থেকে। হরমনপ্রীত আরও বলছেন, ‘আমি যে ভাবে রান আউট হলাম, এর চেয়ে দুর্ভাগ্য়জনক কিছু হয় না। চেষ্টা করাটা খুবই জরুরি ছিল। শেষ বল অবধি আমরা লড়াই করেছি। ওরা টসে জিতে ব্য়াটিং নিলেও হতাশ হইনি। রান তাড়া করার জন্য় প্রস্তুত ছিলাম। দুটো উইকেট হারানোর পরও আমরা কিন্তু ইতিবাচক ব্য়াটিং করেছি। নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে চেয়েছিলাম। ফিল্ডিংয়ে কিছু ভুল হয়েছে। আর কীই বা বলতে পারি! এখান থেকে শিক্ষা নেব।’