নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তিনিই হয়েছিলেন ভিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে হার দিয়ে তেইশের বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৯৯ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। রবিচন্দ্রন অশ্বিন-রবীন্দ্র জাডেজা-কুলদীপ যাদব স্পিনত্রয়ীর বিরুদ্ধে খাবি খায় অজিদের ব্যাটিং আক্রমণ। তবে এই রান নিয়েও চাপে ফেলেছিল ভারতকে। মাত্র ২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুল জুটি ম্যাচ বের করে নেয়। ব্যক্তিগত ১২ রানে বিরাটের ক্যাচ ফসকেছিলেন মিচেল মার্শ। ব্যাট হাতে শূন্য, বিরাটের ক্যাচ মিস। সেই ম্যাচের ভিলেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন। এরপরই সুনীল গাভাসকরের কঠিন প্রশ্নের মুখে। কী ঘটেছে? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
মিচেল মার্শের ব্যাটিং স্টাইল অজানা নয়। ২০২১ সালে প্রথম বার টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বজয়ের স্বাদ পায় অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে ম্যাচ জেতানো মারকাটারি ইনিংস খেলেছিলেন মিচেল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও বিধ্বংসী হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। এর মধ্যে বাউন্ডারিতেই এসেছে ৩৬ রান! মজার ছলেই মিচেল মার্শকে প্রশ্ন করেন সুনীল গাভাসকর। ভারতের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকার।
মিচেল মার্শের বাবা জিওফ মার্শ। লিটল মাস্টার সুনীল গাভাসকরের সমসাময়িক। তাঁকে নিয়ে রসিকতায় মিচেলকে যেন ক্লিন বোল্ড গাভাসকরের। মিচেল মার্শ আগ্রাসী ব্যাটার। তিনি কি রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করতে পারেন? গাভাসকর ডিফেন্সিভ শটের শ্যাডো করে মিচলেকে বলেন, ‘তোমার বাবা কখনও এ ভাবে খেলা শেখায়নি? কেন না, তুমি তো মাঠে নেমেই শট খেলে যাচ্ছ।’ মিচেলও বুদ্ধিদীপ্ত জবাব দেন কিংবদন্তি গাভাসকরকে। বলেন, ‘বাবার স্ট্রাইকরেট খারাপ ছিল। আমি সেই খামতিটাই পূরণ করছি।’
গাভাসকর ও মিচেলের রসিকতায় অনবদ্য একটা মুহূর্ত তৈরি হয়। অজি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার জিওফ মার্শ। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে চেন্নাইতে অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচটি মাত্র ১ রানে হেরেছিল ভারত। এ বারও বিশ্বকাপ পরস্পরের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। চেন্নাইতে অজিদের শুরুটা ভালো না হলেও দু-ম্যাচ পর জয়ে ফিরেছে তারা। ভারত জয়ের হ্যাটট্রিক করে ভালো জায়গায়।