চেন্নাই: নিউজিল্যান্ডের কাছে নিরপেক্ষ ভেনু। কিন্তু ডেভন কনওয়ে ও মিচেল স্যান্টনারের কাছে চেন্নাই ঘরের মাঠ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এই দু-জনই খেলেন চেন্নাই সুপার কিংসে। চিপকের পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা। গত ম্যাচে তবুও স্যান্টনারের সাফল্য না পাওয়া অবাক করেছিল। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিনিই নায়ক। তেইশের বিশ্বকাপের সেরা ক্যাচ! এখনও অবধি তাই। লকি ফার্গুসনের শর্টপিচে হাফ পুল আফগান অধিনায়ক হসমতউল্লাহ শাহিদির। স্কোয়ার লেগ আম্পায়ারের দিকে বল হাওয়ায়। পিছন দিকে অনেকটা দৌড়ে এক হাতে ক্যাচ। চোখ জুড়িয়ে যাওয়া ক্যাচ স্যান্টনারের। ইনিংসে সব মিলিয়ে দুটি ক্যাচ, তিনটি উইকেট। চিপকে স্যান্টনার দাপট। ম্যাচ শেষে চেন্নাইকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
চেন্নাইয়ে সিএসকে সমর্থকদের সামনে খেলা। গ্যালারির পূর্ণ সমর্থন পেলেন। মহেন্দ্র সিং ধোনির টিমের অন্যতম সেরা বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার বলছেন, ‘আইপিএলে এখানে যেমন পিচে খেলি, কার্যত একই পিচ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ফ্লাড লাইটে অনেক বেশি সুইং এবং স্পিন হয়েছে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করায় আমাদের লাভই হয়েছে।’
তেইশের বিশ্বকাপে উইকেট শিকারির তালিকায় আপাতত শীর্ষস্থানে স্যান্টনার। এক ম্যাচে পাঁচ উইকেটও নিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে চার ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে ১১টি উইকেট। এই ম্যাচে মাইলফলকেও পৌঁছলেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম উইকেট নেওয়ার পরই ওয়ান ডে আন্তর্জাতিকে সেঞ্চুরি স্যান্টনারের।
ড্যানিয়েল ভেত্তোরির পর নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে ওডিআইতে একশো উইকেটের মাইলফলকে স্যান্টনার। বলছেন, ‘এমন একটা মাইলফলক নিঃসন্দেহে আনন্দের। ম্যাচের আগে এত কিছু মাথায় ছিল না। নিজের ভূমিকা পালনেই লক্ষ্য ছিল। ভেত্তোরির চেয়ে আমি অনেক অনেক পিছিয়ে। ওর উইকেট সংখ্যা অবধি পৌঁছনো আমার কাছে বিশাল চ্যালেঞ্জ।’