নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের নিরিখে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নিয়ে অন্যান্য দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের বিশেষ আগ্রহ ছিল না। তবে এই ম্যাচই যে ঐতিহাসিক হয়ে দাঁড়াবে কে জানত! ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম বার টাইমড আউট হলেন শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ক্রিজে এলেন, কিন্তু কোনও বল না খেলেই তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। ঘটনার রেশ গড়ায় অনেক দূর। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, তিনি যেন যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন। বেশ কিছু মুহূর্তেই উত্তাপ ছড়িয়েছে। ম্যাচ শেষে সৌজন্যমূলক হাতও মেলাননি দু-দলের ক্রিকেটাররা। কী বলছেন সাকিব ও ম্যাথিউস? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অনবদ্য ইনিংস এবং বোলিংয়ে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতেছেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘মনে হচ্ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছি। আমার যা করণীয় ছিল করেছি। বিতর্ক তো চলতেই থাকবে। তবে আমার সিদ্ধান্তে দলের উপকার হয়েছে, এটা স্বীকার করতে বাধা নেই। আমাদেরই একজন ফিল্ডার এসে বলে, আমি আবেদন করলে ম্যাথিউস আউট হয়ে যাবে। আবেদন করি। আম্পায়ার আমার কাছে জানতে চায়, সত্যিই এমনটা চাইছি কিনা। বললাম, নিয়মে যখন রয়েছে ব্যবহার করতে চাই। এটা ঠিক না ভুল, তা জানা নেই।’
বিরল ভঙ্গিতে আউট হওয়া শ্রীলঙ্কা অলরাউন্ডার ম্যাথিউস এই ঘটনায় অবাক। অপমানজনক বলেও মন্তব্য করেন ম্যাথিউস। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আমি কোনও ভুল করিনি। রেডি হওয়ার জন্য দু-মিনিট ছিল। আমি রেডি থাকলেও ক্রিকেটের সরঞ্জামে গলদ ছিল। সাধারণবুদ্ধি কোথায় হাওয়া হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না। সাকিব এবং বাংলাদেশ টিমের অপমানজনক ঘটনা। ওরা যদি এ ভাবেই ক্রিকেট খেলে, ক্রিকেটের জন্য সেটা বড় ক্ষতি। যদি আমি রেডি না থাকতাম তাহলে আলাদা ব্যাপার ছিল। বরং সময়ের পাঁচ সেকেন্ড আগেই রেডি হয়ে যাই। পুরোটাই হেলমেটের জন্যই। সাধারণ বুদ্ধিতেও এটা বোঝা যায়।’
শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস মনে করেন, আম্পায়ারের উচিত ছিল ‘ভালো সিদ্ধান্ত’ নেওয়ার। তাঁর দাবির স্বপক্ষে নানা যুক্তিও দেন কুশল। ম্যাথিউস ব্যাটিং করতে পারলে দল আরও অন্তত ৩০-৪০ রান বেশি করতে পারত বলেও মনে করেন কুশল।