রক্তিম ঘোষ
কলকাতা: সোমবার ইডেনের মূল গেটে বাবরকে নিয়ে সমর্থকদের যা উচ্ছ্বাস ছিল, তাতে মনে হতে বাধ্য মঙ্গলবার কলকাতার সমর্থন যাবে পাকিস্তানের দিকে। কিন্তু ক্রিকেটকে ছাপিয়ে যে অনেক সময় আগে থাকে চির বৈরিতা। ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের জার্সি বিক্রি হবে। এমন হয়নি। হলও না মঙ্গলবার। ধর্মতলা থেকে ইডেন চত্বর তাই ছেয়ে ফেলল বাংলাদেশের জার্সি। জার্সি বিক্রেতাদের কাছে খুঁজে পাওয়া গেল না পাকিস্তানের জার্সি। তবে কি মনে থাকা পাক ক্রিকেট প্রেম প্রকাশ পেল না জার্সির বহিরাঙ্গে? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সোমবার দুপুরে পাকিস্তান টিম বাস ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ইডেনে থাকা প্রায় শখানেক দর্শকদের বাবর নিয়ে উন্মাদনা। পাক অনুশীলনের শেষে রিজওয়ান, আফ্রিদি, ফখর জামানদের সঙ্গে কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের হাত মেলানো, সেলফি। উষ্ণ অভ্যর্থনা। সপ্তাহের প্রথম দিন এই টুকরো চিত্রগুলো যে কলকাতার পাক ক্রিকেটপ্রীতির জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ ছিল। তার উপর ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তান ক্রিকেটের অতীতের সাফল্য। ভারত হোক বা অন্য কোনও দেশ। ক্রিকেটের নন্দন কাননে তো হেলায় হারিয়েছে পড়শি দেশ। একবার মাত্র শ্রীলঙ্কার কাছে হার হয়েছিল। তাও নয় নয় করে ২৬ বছর হয়ে গেল। তারপর, ইডেন তো পাকিস্তানকে খালি হাতে ফেরায়নি।
সোমবার কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের দেখেও তো মনে হচ্ছিল, মঙ্গলবার এই ভাঙাচোরা পাকিস্তানের ক্রিকেট দেখতে তাঁরা ভিড় জমাবেন। দেশীয় বৈরিতা বাদে যাঁরা ক্রিকেট মাধুর্য উপভোগ করতে এসেছিলেন তাঁদের অনেকেরই নজর ছিল আফ্রিদির সুইং ও বাবরের ব্যাটিংয়ের দিকে। প্রথমার্ধে আফ্রিদির বিষাক্ত সুইংগুলো ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর কেড়েছে। তবে ইডেনের বাইরে ম্যাচের আগে কোথায় পাকিস্তান! বরং ধর্মতলাকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন ঢাকার কোনও জনবহুল জায়গা। যেখানে বাংলাদেশের জার্সির ছড়াছড়ি। পাকিস্তান জার্সি খুঁজেও মিলল না।
যাঁরা জার্সি বিক্রি করতে এসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে একটা বিষয় স্পষ্ট। ক্রিকেট নৈপুন্য নিয়ে যাই ভাল লাগা থাকুক, পাকিস্তানের জার্সি নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই তিলোত্তমার। তা কী স্রেফ কূটনৈতিক কারণ? ধর্মতলার জার্সি বিক্রেতারা অত ভারী শব্দ যে বোঝেন না।