নয়াদিল্লি: বর্ডার -গাভাসকর ট্রফি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ভারতের কাছে লজ্জার হার স্বীকার করতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। নাগপুরে প্রথম টেস্টে ইনিংস এবং ১৩২ রানে হারে অজিরা। দিল্লিতেও বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয়নি। দ্বিতীয় টেস্টে ৬ উইকেটে হার অস্ট্রেলিয়ার। দুই ম্যাচেই তিনদিনের মধ্যেই খেলার ফল হয়ে যায়। যা নিয়ে চারিদিকে বিদ্রুপও চলছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে অনুরোধ করেছেন, যেন চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি না করা হয়! এই জোড়া হারের পর প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অজি দলকে খোঁচা ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারের। বিস্তারিত TV9Bangla-র।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ হরভজন সিংয়ের কেরিয়ারে অন্য়তম সেরা অধ্য়ায়। ২০০১ সালে ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ভাজ্জি। সে সময় অস্ট্রেলিয়া দল ছিল অপ্রতিরোধ্য। এ বার ৪ ম্য়াচের সিরিজে ভারত সহজেই ২-০ এগিয়ে। একটি ক্রীড়া মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হরভজন সিং বলেন “ভারতের পিচগুলিকে ঘিরে তাদের প্রাক ম্যাচ আলোচনা ও অন্যান্য নেতিবাচক জিনিসগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ফলস্বরূপ তারা নিজেরাই নিজেদের বিভ্রান্তির কারণ সৃষ্টি করেছে, যা তাদের পারফরম্যান্সে ধরা পড়েছে।”। প্রথম দুই টেস্টে কার্যত দুরমুশ হয়ে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ান দলকে ‘ডুপ্লিকেট’ বলে বিদ্রুপ করেছেন ভাজ্জি। এই সিরিজ ৪-০ ব্য়বধানে জিতবে ভারত, আশাবাদী ভাজ্জি। তাঁর বিশ্বাস অস্ট্রেলিয়া যেভাবে খেলছে তাতে তারা হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাবে অনায়াসেই। এখানেই থামেননি ভারতের প্রাক্তন অফস্পিনার। যদি ১০ ম্যাচের সিরিজ হয় তাহলেও ভারত ১০-০ তেই জিতবে বলে তিনি মনে করেন।
অসি শিবিরের মূল ভয় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সিরিজ শুরুর আগে কোনও প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। পরিবর্তে পিচে ক্ষতচিহ্ন তৈরি করে ‘নকল’ অশ্বিন-জাডেজার বিরুদ্ধে অনুশীলন করতে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্য়াটারদের। অশ্বিন-জাডেজাকে নিয়ে কতটা ভীত ছিল, এর থেকেই পরিষ্কার। আর কোনো দিকেই আলোকপাত করেনি অজিরা, এমনটাই মনে করেন হরভজন সিং। অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স দেখে তিনি বলেন, “ওদের দেখে মনে হচ্ছে এই সফরের জন্য ওরা কোনও প্রস্তুতি নেয়নি। বরং শুধুমাত্র আউট হওয়া প্র্যাক্টিস করেছে।’
ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে মার্চের ১ তারিখ নামছে অস্ট্রেলিয়া। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে এই ম্যাচটি হবে। সেই টেস্টেও অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কী না সে বিষয়ে এখন কেবলই ধোঁয়াশা!