সম্ভাবনা যথেষ্ট। আইসিসির বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তৃতীয়বার আর নির্বাচনে নেই তিনি। এ বারই মেয়াদ শেষে সরে দাঁড়াবেন। আইসিসি চেয়ারম্যান পদের দৌড়ে এগিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। বর্তমানে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব হওয়ার পাশাপাশি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি এবং আইসিসি ফিনান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটিরও প্রধান। এখনও অবধি যা পরিস্থিতি, আইসিসি বোর্ডে ১৬ সদস্যের মধ্যে অন্তত ১৫ জনের সমর্থন পাবেন জয় শাহ। ফলে চেয়ারম্যান হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল জয় শাহর। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে টানা দ্বিতীয় টার্ম পূরণের এখনও এক বছর বাকি রয়েছে তাঁর। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন থাকছে, জয় শাহ আইসিসি-তে গেলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব পদে কাকে দেখা যাবে?
আইসিসি-র নতুন চেয়ারম্যান যেই হন, তিনি দায়িত্ব দেবেন ১ ডিসেম্বর। মনোনয়ন জমা দিতে হবে ২৭ অগস্টের মধ্যে। নিয়ম অনুযায়ী ভারতীয় বোর্ডের পদে ফিরতে হলে ২০২৫ সালের অক্টোবরের পর তিন বছর কুলিং অফে থেকে তারপর ফিরতে পারবেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পদে জয় শাহর জায়গায় অটোমেটিক চয়েস কেউ নন। তবে যাঁদের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, এমন কিছু নাম নিয়েই আলোচনা।
বোর্ডের বর্তমান সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা। তাঁকে এক বছরের বোর্ডের সচিব পদে দেখা যেতেই পারে। তাঁর পাশাপাশি দৌড়ে রয়েছেন আশিস শেলার। বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন তিনি। আরও একটা নাম উঠে আসছে। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল। অতীতে বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ পদ সামলেছেন। দৌড়ে অতি পরিচিত না হলেও আরও একজনের কথা ভুললেও চলবে না। যুগ্মসচিব দেবজিৎ সইকিয়া।
সমস্ত হেভিওয়েট নামের পাশাপাশি দৌড়ে আরও বেশ কয়েকজন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার প্রধান রোহন জেটলি এবং বাংলা ক্রিকেট সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য অভিষেক। ক্রিকেট প্রশাসনে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমান বোর্ড সচিব জয় শাহ এবং অন্যান্য হেভিওয়েট নামও তাঁকে খুবই সম্মান করেন। ফলে অভিষেক ডালমিয়ার নাম কোনও ভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যায় না।