কলকাতা: বিশ্বকাপের দামামা বেজে গিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দুই আয়োজক আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য সেজে উঠেছে। অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন। ২ জুন থেকে শুরু হবে আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ। যে কোনও বড় টুর্নামেন্ট মানেই থাকে রিজার্ভ ডে। বৃষ্টির কারণে বা খারাপ আবহাওয়ার কারণে সূচি অনুযায়ী বড় ম্যাচ না হলে, তা রিজার্ভ ডে-তে হয়। কিন্তু এ বারের বিশ্বকাপে অবাক করার মতো একটা বিষয় রয়েছে। তা হল টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নেই রিজার্ভ ডে। তা হলে সেমিফাইনালের বল মাঠে না গড়ালে কোন দল পাবে কাপ জয়ের শেষ টিকিট? আর ভারত যদি সেমিফাইনালে ওঠে তা হলে ক্রিকেট প্রেমীদের ঘুম উড়তে পারে। কারণ জানেন?
বিষয়টা বেশ খটমটই বটে। কারণ, এ বারের টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য কোনও রিজার্ভ ডে নেই। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, আইসিসি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচের জন্য ২৫০ মিনিট বাড়তি সময় বরাদ্দ করে রেখেছে। কিন্তু রিজার্ভ ডে নেই। যা থেকে বোঝা যায় যে, যদি বৃষ্টির কারণে বা খারাপ আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল নির্ধারিত দিনে এবং নির্ধারিত সময়ে না হয়, তা হলে ৪ ঘণ্টা ১০ মিনিট অবধি অপেক্ষা করা যাবে, ম্যাচ চালু করার জন্য।
ভারত যদি এ বারের টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠে, তা হলে ক্রিকেট প্রেমীদের ঘুমের দফারফা হতে পারে। কারণ, প্রথম সেমিফাইনালটি হবে ২৬ জুন। ভারতীয় সময় অনুসারে তা ২৭ জুন সকাল ৬টায়। এরপর ২৭ জুন গায়ানাতে রয়েছে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। স্থানীয় সময় অনুসারে এই ম্যাচ শুরু হওয়ার কথায় ১০.৩০ মিনিটে। ভারতীয় সময় অনুসারে সেটি হবে রাত ৮ টায়। এখানেই এ বার আজব নিয়ম। প্রথম সেমিফাইনালটি যদি নির্ধারিত সময়ে না হয়, তা হলে ক্যারিবিয়ান সময় অনুযায়ী পরের দিনও চলবে। কিন্তু দ্বিতীয় সেমিফাইনালে যেহেতু রিজার্ভ ডে নেই, রয়েছে অতিরিক্ত সময়। তাই ভারত যদি দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলে সেক্ষেত্রে বাড়তি সময়ে ম্যাচ গড়ালে ভারতীয় সময় অনুযায়ী খেলা শেষ হতে হতে মাঝ রাত কিংবা পরের দিনের ভোর অবধি হয়ে যেতে পারে।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিজার্ভ ডে না রাখার কারণ যাতে ট্র্যাভেলের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয়। দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দলকে ২৯ তারিখ ব্রিজটাউনে পৌঁছেই ফাইনাল খেলতে নেমে পড়তে হত। তাই আইসিসি ২৮ জুন ট্র্যাভেল ডে হিসেবে রাখতে চাইছে। এবং ২৯ জুন ফাইনাল আয়োজন করতে চাইছে।