ইন্দোর: অশ্বিনকে দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল? এই প্রশ্ন উঠেছিল। অস্ট্রেলিয়া সফরের দল ঘোষণাতেই চমক। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজ। অঙ্ক অনুযায়ী, বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা প্লেয়ারদেরই খেলানো উচিত। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে স্কোয়াডে যোগ করতেই প্রশ্ন উঠেছিল। ৩৭ বছর বয়সি অশ্বিনকে কেন স্কোয়াডে রাখা হল? তাও আবার দেড় বছর পর ওয়ান ডে দলে! মোহালিতে প্রথম ম্যাচে মাত্র একটি উইকেট। অশ্বিনের মানের এবং অভিজ্ঞ স্পিনারের কাছে প্রত্যাশা যে আরও অনেক বেশি। ইন্দোরের পারফরম্যান্সে কি সেই প্রত্যাশা মিটল? তা নিশ্চিত নয়। তবে কিংবদন্তি অনিল কুম্বলের রেকর্ড ভেঙে দিলেন অশ্বিন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নাম যোগ হওয়াটা যেন সময়ের অপেক্ষা। ইন্দোরের পারফরম্যান্স যেন সেই ইঙ্গিতই দেয়। শুভমন গিল-শ্রেয়স আইয়ারের সেঞ্চুরি। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের হাফসেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের সেরা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। ওয়ান ডে ক্রিকেটে সাফল্য মিলছিল না। মোহালিতে হাফসেঞ্চুরি করেন। ইন্দোরে আরও বিধ্বংসী। ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস। অস্ট্রেলিয়াকে ৪০০ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় ভারত।
অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের নবম ওভারেই আক্রমণে আনা হয় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। যদিও সেই ওভার শেষেই তুমুল বৃষ্টি। ম্যাচ বন্ধ থাকে দীর্ঘ সময়। ওভারও কমতে থাকে। ডাকওয়ার্থ লুইসে অস্ট্রেলিয়ার পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩ ওভারে ৩১৭ রান। অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হলেও বৃষ্টি বিরতির পর অশ্বিনের দাপট। শুরুটা করেন মার্নাস লাবুশেনকে দিয়ে। ক্লিন বোল্ড। ডেভিড ওয়ার্নার হাফসেঞ্চুরিতে ভালো ছন্দে ছিলেন। তবে অশ্বিনের সঙ্গে মাইন্ড গেম খেলতে গিয়ে নিজেই ফাঁদে পড়েন। জশ ইংলিশকে লেগ বিফোর করেন অশ্বিন। ৭ ওভারে ৪১ রান দিয়ে তিন উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই তিন উইকেটে অনন্য নজিরও গড়েন। কোনও এক প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার নজির ছিল অনিল কুম্বলের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই ১৪২ উইকেট নিয়েছিলেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক, তথা কোচ কুম্বলে। সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই অশ্বিনের উইকেট সংখ্যা ১৪৪। দেশের প্রাক্তন স্পিনার কুম্বলে ৬৭ ইনিংসে ১৪২ উইকেট নিয়েছিলেন। অশ্বিন সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন ৬৮ ইনিংসে।