পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় সেশন দেখে মনে হয়েছিল, সহজেই অন্তত ড্র করবে ভারত। এরপর জয়ের জন্যও ঝাঁপাতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গেল চা বিরতির পরই। ইতিমধ্যেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সুতরাং, একটি স্পট খালি। দৌড়ে রয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কা। মেলবোর্ন টেস্ট জিততে না পারলেও অন্তত ড্র করলে দৌড়ে টিকে থাকবে ভারত। সেই পরিস্থিতি নিজেরাই যেন জটিল করলেন।
দিনের দ্বিতীয় সেশনে দুর্দান্ত ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল ও ঋষভ পন্থ। দু-জনই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং পছন্দ করেন। পরিস্থিতির নিরিখে প্রয়োজন ছিল ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের। সেটাই মাঝের সেশনে করে দেখিয়েছেন যশস্বী ও পন্থ। চা বিরতির পরই হঠাৎ পালা বদল। পার্টটাইম স্পিনার ট্রাভিস হেডের শর্ট পিচ ডেলিভারিতে লোভ সামলাতে ব্যর্থ পন্থ। ডিপ লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
যশস্বীর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন রবীন্দ্র জাডেজা। তাঁর ব্যাটিংয়ে ভরসা করা যায়। ডিফেন্সেও। কিন্তু প্রয়োজনের সময় ভরসা দিতে পারলেন না। স্কট বোল্যান্ডের বোলিংয়ে কট বিহাইন্ড জাডেজাও। ক্রিজে প্রবেশ এমসিজির নায়ক নীতীশ কুমার রেড্ডির। প্রথম ইনিংসে নীতীশ ও ওয়াশিংটনের দুর্দান্ত জুটির সৌজন্যেই ম্যাচে ফিরেছিল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে অনেক অনেক প্রত্যাশা ছিল নীতীশের ব্যাটে। কিন্তু অফস্পিনার নাথান লিয়ঁর বোলিংয়ে স্লিপে অনবদ্য় ক্য়াচে তাঁকে ফেরান স্টিভ স্মিথ।
চায়ের পর ১২১-৩ থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ১৩০-৬! মাত্র ৯ রানের মধ্যেই তিনটি উইকেট। জয় দূর অস্ত, এখান থেকে ভরসা যশস্বী জয়সওয়ালের ব্যাট। ২০০-র বেশি ডেলিভারি সামলে ক্রিজে পড়ে রয়েছেন যশস্বী। তাঁর সঙ্গে ওয়াশিংটন সুন্দর। দিনের খেলার এখনও ২০ ওভারের মতো বাকি।