মোহালি: ক্যাপ্টেন এবং ব্যাটার রাহুলকে হয়তো ফুল মার্কস দেওয়াই যায়। কিন্তু কিপার রাহুলকে? নিজেও নিজেকে নিয়ে খুশি নন। মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয়। তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত। বোলিংয়ে মহম্মদ সামির দাপট। একাই নেন পাঁচ উইকেট। সংখ্যাটা বাড়তেও পারত। সামির বোলিংয়েই একটি আউটসাইড এজ রাহুল ঝুঁকতে পারলেই…। কিন্তু ক্যাচ ফসকায়। শুধু এই একটা ক্ষেত্রেই নয়। বেশ কিছু সময়ই কিপিং, থ্রো ধরার ক্ষেত্রে অস্বস্তিতে দেখায় রাহুলকে। ম্যাচ শেষে প্রথম দু-ম্যাচের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল যা বললেন, বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সদ্য এশিয়া সেরা হয়েছে ভারত। রবিবার ফাইনালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কাকে দুরমুশ করে টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচে বল হাতে বিধ্বংসী ভূমিকা নিয়েছিলেন সিরাজ। মোহালিতে অনবদ্য সামি। ম্যাচে দলের থেকে যা প্রত্যাশা ছিল, সেটা কতটা পূরণ হল, সেই প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘কলম্বোর মতোই গরম এবং আর্দ্রতা এখানকার আবহাওয়ায়। তবে সকলেই দায়িত্ব নিয়েছে। বোলিংয়ে আমাদের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। মাঝের ওভারে আমরা চাপে ছিলাম। সকলের মধ্যে একটাই আলোচনা চলছিল, পুরো ৫০ ওভার একইরকম তাগিদ নিয়ে খেলতে হবে। সেই চেষ্টাই করে চলেছি। ফিটনেসের দিক থেকেও।’
শুরুতে সামির অনবদ্য স্পেল। মাঝেও বোলিংয়ে এসে ব্রেক থ্রু দিয়েছেন। স্লগ ওভারেও অনবদ্য। একই পরিস্থিতি তৈরি হয় ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও। ওপেনিং জুটিতে অনবদ্য ব্যাটিং শুভমন গিল ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের। কেরিয়ারের প্রথম ওডিআই হাফসেঞ্চুরি ঋতুর। অন্যদিকে, নিজের হোম গ্রাউন্ডে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে ৭৪ রান শুভমনের। জুটি ভাঙতেই বেকায়দায় ভারত। শ্রেয়স আইয়ার মিডল অর্ডারে ভরসা দিতে ব্যর্থ। ঈশান কিষাণ সেট হলেও ভরসা দেওয়ার মতো ইনিংস খেলতে পারলেন না। অধিনায়ক রাহুল এবং সূর্যকুমার জুটি পরিস্থিতি সামাল দেয়।
ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গেই কিপিংয়ের বিষয়টিও উঠে এল রাহুলের মুখে। বলছেন, ‘যখন ব্যাটিংয়ে নামি পরিস্থিতিটা অন্যরকম ছিল। নেমেই শট খেলার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তবে সূর্যর সঙ্গে দারুণ একটা জুটি জয়। ক্রিকেটীয় শট খেলার দিকেই মন দিয়েছিলাম। আলোচনায় সেটাই ছিল। তবে ৫০ ওভার কিপিংয়ের পর মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নামাটা আমার পক্ষে কঠিন হয়েছিল। তবে একটা জিনিস বলতেই হবে, কিপিংয়ে আমার আরও উন্নতি করতে হবে।’