মোহালি: স্বপ্নপূরণের ইনিংস! অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মোহালিতে প্রথম ওডিআইতে হাফসেঞ্চুরির পর এমনটাই বললেন সূর্যকুমার সিং। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার। টেস্ট দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তাঁর খেলার স্টাইল যে সাদা বলের ক্রিকেটের সঙ্গে বেশি মেলে! তাতেও অবশ্য অস্বস্তি কাটছিল না সূর্যর। ওয়ান ডে ফরম্যাটে একের পর এক সুযোগ, কাজে লাগাতে পারছিলেন না। টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা রেখেছে। অবশেষে ওয়ান ডে কেরিয়ারে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। তাও আবার ২০ ইনিংস পর! হয়তো সে কারণেই ‘স্বপ্নপূরণ’ বলছেন সূর্য! কিন্তু কেকেআর কোচকে কেন ধন্যবাদ জানালেন? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
মোহালিতে প্রথম ওডিআইতে সূর্যর ইনিংস অবাক করার মতোই। ৫০ রানের ইনিংসে ওভার বাউন্ডারি মাত্র একটা। বাউন্ডারি মেরেছেন ৫টি। এর মধ্যে স্ট্রেট ড্রাইভে বাউন্ডারি! স্কাইয়ের ব্যাটে এমন শট বিরল। ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্যকার তাঁকে এই নিয়েই প্রশ্ন করেন। মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রির ব্যাটে স্ট্রেট ড্রাইভ কী করে! কোথায় শিখলেন? এক গাল হাসি নিয়ে সূর্য বলেন, ‘এটা তো স্যার চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের স্কুলে শেখা।’
চন্দ্রকান্ত পন্ডিত আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ। তবে ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর সেরা পরিচয় একজন সফল কোচ হিসেবেই। রঞ্জি ট্রফিতে তাঁর কোচিং মস্তিষ্ক ছাপিয়ে যাওয়া কঠিন। যে দলই রঞ্জি খরা কাটাতে চায়, চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের শরণাপন্ন হয়। মুম্বই রঞ্জি টিমকে দীর্ঘ সময় কোচিং করিয়েছেন। সেই দলে খেলেছেন সূর্যকুমারও। তাই কোচকে কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না।
সূর্য আরও বলছেন, ‘এরকম একটা ইনিংস খেলারই স্বপ্ন দেখছিলাম। এই ফরম্যাটে যখন খেলা শুরু করি, একটাই লক্ষ্য থাকত, শেষ অবধি খেলা। যদিও আজ সেটা পারিনি। শেষ মুহূর্তে আউট হলাম। তবে দল জেতায় খুশি হয়েছি। কেন রান পাচ্ছি না, এই নিয়ে অনেক ভেবেছি। প্রতিপক্ষ, বোলার সবই তো এক। তাহলে কেন এই ফরম্যাটে ব্যর্থ হচ্ছি? উপলব্ধি করি, আমি হয়তো বড্ড তাড়াহুড়ো করছিলাম। সে কারণে এই ম্যাচে মন্থর খেলার চেষ্টা করেছি। সম্ভবত প্রথম বার আমি কোনও সুইপ শট খেলিনি। এ ভাবেই খেলতে চাই এবং দলের জয়ে অবদান রাখতে চাই।’