অবিশ্বাস্য বললেও কম। নৈতিক জয় বলাই যায়। ম্যাচের চতুর্থ দিন। অস্ট্রেলিয়া মরিয়া ছিল ভারতকে ফলোঅন করতে। তেমনই ভারতের লোয়ার অর্ডাররা ব্যাটাররাও সাহসী ব্যাটিং করে গেলেন। পাহাড়প্রমাণ চাপের মুখে আকাশ দীপের ব্যাট থেকে বাউন্ডারি বেরোতেই ড্রেসিংরুমে লাফিয়ে উঠলেন বিরাট কোহলিরা। জাডেজার দুর্দান্ত ইনিংস। শেষ উইকেটে আকাশ দীপ-জসপ্রীত বুমরার অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ফলো অন এড়াল ভারত। টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম নাটকীয়, দুর্দান্ত দিন। ফলো অন এড়াতে প্রথম ইনিংসে অন্তত ২৪৬ রান করতে হত ভারতকে। মন্দ আলোয় দিনের খেলা শেষের সময় ২৫২-৯ স্কোরে ভারত।
অনবদ্য ব্যাটিং করছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। প্রথম দুই টেস্টে সুযোগ পাননি। একাদশে আসা এবং এমন একটা ইনিংস খেলা সহজ নয়। জাডেজা থাকলে ভারত ফলো অন এড়াতে পারবে, এই ভরসা ছিল। অজি শিবিরও তাঁকে নিয়েই মূলত চিন্তায় ছিল। লোকেশ রাহুল, নীতীশ রেড্ডির সঙ্গে অনবদ্য জুটিও গড়েছিলেন। নীতীশ আউট হতেই আরও সমস্যায় পড়ে ভারত। জাডেজার সঙ্গে সিরাজ খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তখনও ফলো এন এড়াতে ৪৫ রান প্রয়োজন ছিল। জসপ্রীত বুমরা ক্রিজে যোগ দেন। লিয়ঁর বোলিংয়ে বড় শট খেলে ব্যবধান কমান।
জাডেজা থাকলে যে কাজ কঠিন। সে কারণেই তাঁর জন্য স্পেশাল প্ল্যান। মিড উইকেট ফিল্ডারকে একটু পিছনে রেখে শর্ট পিচ ডেলিভারি। সেই ফাঁদে পা দিলেন জাডেজা। মিড উইকেট ফিল্ডারকে পার করতে পারলেই বাউন্ডারি। যদিও ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিক হল না। কামিন্সের বোলিংয়ে সামনের দিকে কিছুটা দৌড়ে অনবদ্য ক্যাচ মিচেল মার্শের। ৭৭ রানে ফেরেন রবীন্দ্র জাডেজা। নবম উইকেট হারায় ভারত। জসপ্রীত বুমরা ও আকাশ দীপের কাছে ফলো অন এড়ানো কার্যত মিশন ইমপসিবল হয়ে দাঁড়ায়।
বুমরাকে রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিং শুরু করেন কামিন্স। বাউন্সারে দুর্দান্ত হুক শটে ছয় মারেন বুমরা। ফলো অন ও ভারতের মাঝে তখনও ২৫ রানের ব্যবধান। বুমরার ব্যাটিং নিয়ে আগের দিনই সাংবাদিক সম্মেলনে মজা হয়েছে। তাঁকে আন্ডার এস্টিমেট করা যে ভুল, আরও একবার দেখিয়ে দিলেন। ৩৯ রানের জুটি আকাশ দীপ ও জসপ্রীত বুমরার। এই ম্যাচে আর যাই হোক, ড্র সম্ভব। ভারতের কাছে সেটাই দুর্দান্ত হয়ে দাঁড়াবে।