বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ভারতের মাটিতে টেস্টে ফাইফার। ইতিহাস গড়লেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। ম্যাচের প্রথম দিনই চার উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম দিন অনবদ্য বোলিং করেছিলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদও। দ্বিতীয় দিনের সকালে পুরস্কার পেলেন। তিন উইকেট তাঁর ঝুলিতে। দ্বিতীয় নতুন বলে ভারত খুব একটা সুবিধা করতে পারল না। এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। দ্বিতীয় দিন ভারতের ঝুলিতে যোগ হল আরও ৩৭ রান। ভারতীয় শিবিরে বড় আক্ষেপ, তিন অঙ্কের রান এল না। ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ ৩৭৬ রানে। এ বার ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
ম্যাচের প্রথম দিনও প্রথম সেশনে দুর্দান্ত বোলিং করেছিল বাংলাদেশ। যদিও ওভার রেট প্রচণ্ড স্লো। দিনের ৯০ ওভার খেলা হয়নি। ৮০ ওভারেই দিনের খেলার সমাপ্তি হয়। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের কাছে সুযোগ ছিল দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি বাংলাদেশ। আগের দিনের স্কোরে কোনও রান যোগ করতে পারেননি রবীন্দ্র জাডেজা। ৮৬ রানেই ফেরেন তিনি। পেসারদের নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন অশ্বিন।
রবিচন্দ্রনের ইনিংস শেষ হয় ১১৩ রানে। দ্বিতীয় দিন একটি বাউন্ডারিই মেরেছেন। লোয়ার অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন কেরিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা আকাশ দীপও। ১৭ রান করেন তিনি। বুমরার অবদান ৭। প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান কম নয়। বিশেষ করে ভারতীয় বোলিং আক্রমণের কথা ভাবলে এই রান অনেকটাই বেশি। ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে ইতিমধ্যেই ওপেনার শাদমান ইসলামকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাঁকে ফেরান বুমরা। আর একটা রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা নিশ্চিত হতে পারলে ভারতের ঝুলিতে শুরুতেই ২ উইকেট হতে পারত।