কলম্বো: সেই বিখ্যাত হাসি হেসে ক্রিস গেইল কবে বলবেন, ‘যোগ্য হাতেই গেল আমার রেকর্ড!’ রবিবারের ছুটি ভেঙে টুইট করতে হতে পারত গেইলকে! হবে না কেন, হিটম্যান তেতে ছিলেন যে! নাসিম শাহর তীক্ষ্ণ ইনসুইংটা কি অহং জাগিয়ে দিয়ে গিয়েছিল রোহিত শর্মার (Rohit Sharma)? শুধু ওই একটা বল নয়, প্রায় ব্যাট ছুঁতে ছুঁতে বেরিয়ে যাওয়া একডজন বলের কথা বলতে হতে পারে। প্রতি বল দেখে মনে হচ্ছিল, বড্ড নড়বড়ে। এখনও ছন্দ খুঁজে পাননি। এই পাক ম্যাচে কি পাবেন? গত উইকএন্ডে এশিয়া কাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচে ভারতের অধিনায়ককে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। শাহিন শাহ আফ্রিদির আউটসুইং পড়তে না পেরে উইকেট দিয়েছিলেন। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল গলে গিয়ে উইকেট নড়িয়ে দিয়েছিল। নেতৃত্ব, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, ৫০ ওভার ফর্ম্যাটে সে ভাবে না খেলা কি রোহিতকে চাপে রেখেছিল? দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি করে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। ৪৯ বলে ৫৬ করে আউট হলেন রোহিত। TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত।
ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে রোহিত বরাবর সুপারস্টার। ওপেনার হিসেবে আগ্রাসী ছন্দই পছন্দ করেন। চার-ছয়ের বন্যা বইয়ে দিতে পারেন। বাবর আজমের পাকিস্তান ম্যাচে শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছিল বলে কম কথা শোনেননি। এ বার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করল রোহিতের ব্যাট। রবিবার শুরুর দিকে রোহিতকে সাবলীল দেখাচ্ছিল না। কিন্তু ধৈর্য দেখিয়েছিলেন। নাসিমের বারবার ছোবল খেয়েও ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলেন। অপেক্ষা করছিলেন, বল কখন পুরনো হবে। শাহিনকে রবিবার বেশি খেলেছেন শুভমন। আর নাসিমকে রোহিত। শুরুর দিকে বেশি খেললেও যত সময় গড়িয়েছে রোহিত বাইশ গজে নিজেকে মেলে ধরেছেন। পাকিস্তানের লেগস্পিনার শাদাব খান বোলিংয়ে আসতেই রোহিত সেই চেনা ছন্দে। শাদাব খানকে চারটে ঘুম ওড়ানো ছক্কা মারলেন। কাট, ড্রাইভে আর দুটো চার। হাফসেঞ্চুরি করে ধীরে ধীরে ভারতের রানের খাতা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ক্যাপ্টেন।
বিশ্বকাপের আগে রোহিতের ছন্দে ফেরা খুব দরকার ছিল। তিনি ব্যাট হাতে পারফর্ম করলে টিমকে জেতানোর অর্ধেক কাজ সেরে ফেলবে ভারত। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের পাকিস্তান ম্যাচ বিশ্বকাপের সেরা প্রস্তুতি। সেই ম্যাচেই রোহিত আবার হিট। যদি এখান থেকে সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারতেন, নিজে তো বটেই, টিম, সমর্থকদেরও বার্তা দিতে পারতেন— বিশ্বকাপের জন্য তৈরি ভারত! যদি শাদাবকে উইকেট না দিতেন, তা হলে আরও এগোতে পারতেন। হয়তো সেঞ্চুরিও আসত।