টানা দু-ম্যাচে সেঞ্চুরি। অনবদ্য ছন্দে ছিলেন সঞ্জু স্যামসন। ভারতের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টানা দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছিলেন। হিরো থেকে একেবারে ‘জিরো’! তবে এ দিন ইনিংসের তৃতীয় বলেই ক্লিন বোল্ড সঞ্জু স্যামসন। মার্কো জানসেনের ইনসুইং অনেকটা সরে গিয়ে কভারের উপর দিয়ে মারার চেষ্টা ছিল সঞ্জুর। হতাশ করেন আর এক ওপেনার অভিষেক শর্মাও। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে লেগ সাইডে জেরাল্ড কোৎজের একটি বাউন্সারে পুল করতে চেয়েছিলেন। কট বিহাইন্ডের আবেদনে অন ফিল্ড আম্পায়ার আউটও দেন। তবে রিভিউতে বাঁচেন। এক বলের ব্যবধানে শর্ট পিচ ডেলিভারিতে থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিষেক শর্মা।
গত ম্যাচের পরিস্থিতি ছিল পুরোপুরি আলাদা। অভিষেক শর্মার উইকেট দ্রুত হারালেও সঞ্জু ও সূর্য একটা জুটি গড়েছিলেন। বেরহায় প্রথম দু-ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে চাপে পড়ে ভারত। সবচেয়ে অস্বস্তির অভিষেক শর্মার উইকেট। আইপিএলের গত সংস্করণে অনবদ্য পারফর্ম করেছিলেন অভিষেক শর্মা। এরপরই জাতীয় দলে সুযোগ। কিন্তু ধারাবাহিকতা দেখাতে ব্যর্থ যুবরাজ সিংয়ের শিষ্য অভিষেক শর্মা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর জিম্বাবোয়ে সফরে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। একঝাঁক নতুন মুখ ছিল সেই স্কোয়াডে। কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচেই সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর অবশ্য উল্লেখযোগ্য কোনও ইনিংস নেই। প্রথম ওভারে সঞ্জুর উইকেট হারানোর পর একটু হলেও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু শর্টপিচের কবলে অভিষেক। এই ম্যাচে তাঁর অবদান ৫ বলে ৪ রান। প্রোটিয়া সিরিজের আগে এমার্জিং এশিয়া কাপেও ভালো খেলেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাঁকে কি সিনিয়র দলে সুযোগ নিয়ে অনেক বেশি তাড়াহুড়ো করা হয়েছে!
ভারতের অস্বস্তি বাড়ে চতুর্থ ওভারে আউট অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও। কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নামা সিমেলানের ডেলিভারিতে থার্ডম্যানে খেলতে চেয়েছিলেন স্কাই। যদিও লেগবিফোর হন। রিভিউ নেননি স্কাই। শুরুতেই তিন উইকেট হারানোয় পাওয়ার প্লে-তে সতর্ক থাকতে হল তিলক ও অক্ষর প্যাটেলকে। পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেটে মাত্র ৩৪ রান তোলে ভারত।