বোর্ডে টার্গেট ২০৩। বিশাল স্কোরই বলা যায়। ইনিংসের প্রথম ওভারেই প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন এইডেন মার্কব়্যামের উইকেট তুলে নেন ভারতের বাঁ হাতি পেসার অর্শদীপ সিং। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনবদ্য বোলিং করেছিলেন। এ বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অন্যতম ধারাবাহিক বোলার অর্শদীপ। ডারবানেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। প্রথম স্পেলে ২ ওভারে ১৯ রান দিয়ে প্রোটিয়া ক্যাপ্টেনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।
ভারতীয় শিবিরে দ্বিতীয় সাফল্য আবেশ খানের সৌজন্যে। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল ত্রিস্তান স্টাবস-রায়ান রিকেলটন জুটি। আবেশ খানের বোলিংয়ে মিড অফের উপর দিয়ে শট খেলার চেষ্টায় স্কাইয়ের হাতে ধরা পড়েন ত্রিস্তান স্টাবস। আইপিএলে তাঁকে রিটেন করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। রানের গতি বাড়াতে হিমসিম খাচ্ছিলেন এ দিন। ১১ বলে ১১ রানেই ফেরেন। তবে মজা হয় বল হারানোতে।
চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ১০৪ মিটারের ছয় মারেন রায়ান রিকেলটন। ছাদ পেরিয়ে বল পড়ে রাস্তায়। দু-জন যুবক হেঁটে যাচ্ছিলেন। বল পেতেই কুড়িয়ে নেন। সেখানে ছিলেন দুই নিরাপত্তাকর্মীও। ক্যামেরাতেও ধরা পড়ে যে বল রাস্তায় পড়েছিল। জায়ান্ট স্ক্রিনে তা ভেসে ওঠে। তা অবশ্য পাত্তা দেননি দুই যুবকের একজন। বল নিয়ে হাঁটা লাগান। নিরাপত্তারক্ষীদের একজন তাড়া করতে চাইলেও হাল ছেড়ে দেন। এত সুন্দর একটা স্মারক মিস হয়ে যেত সেই যুবকের। সেটা হয়তো চাননি নিরাপত্তারক্ষী। বল এবং বোলার বদল হতেই আউট রিকেলটন।
পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে আক্রমণে আনা হয় বরুণ চক্রবর্তীকে। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। এরপরই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন। অবশেষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কামব্যাক হয় কেকেআর স্পিনারেরর। ডারবানে আক্রমণে এসে দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই ফেরান রায়ান রিকেলটনকে। মাত্র পাঁচ রান দিয়ে ১ উইকেট। পাওয়ার প্লে-তে ৪৯ রান করলেও তিন উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।