India vs South Africa: পূজারার পর রাহানের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারও কি শেষ? ইঙ্গিত তেমনই…
Cheteshwar Pujara-Ajinkya Rahane Future: দ্বিতীয় ইনিংসেও হতাশ করেন পূজারা। ক্রমশ সেট হচ্ছিলেন। কিন্তু একটি শর্ট পিচ ডেলিভারিতে আপারকাট খেলতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তাঁর এই আউট হওয়ার ধরন টিম ম্যানেজমেন্ট যে ভালো ভাবে নেবে না, পরিষ্কার ছিল। ফাইনালের পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সফর শুরু করে। পূজারার জন্য সেটাই যেন দেওয়াল লিখন ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন সফরেও স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ায় দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল।
মুম্বই: টানেলের শেষে আলো থাকে। হতাশায় ভুগতে থাকা অনেকের প্রেরণা এই বাক্য। রবিচন্দ্রন অশ্বিনও যখন জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না, এমন লাইন পোস্ট করেছিলেন। তবে চেতেশ্বর পূজারা কিংবা অজিঙ্ক রাহানের কাছে আদৌ কি আর আলোর হদিশ রয়েছে? মনে হয় না। অন্তত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণার পর বলা যায়, আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষ এই দুই ব্যাটারের। কেন এমন মনে করা হচ্ছে? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
একশোর বেশি টেস্ট খেলেছেন চেতেশ্বর পূজারা। গত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের অনেক আগেই তাঁকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ ভেনুতে ম্যাচ। ইংল্যান্ডের আবহাওয়া, পরিবেশ, পরিস্থিতি অচেনা ছিল না পূজারার কাছে। তারপরও তাঁকে আগে পাঠানোর কারণ, ফাইনালের জন্য ভালো প্রস্তুতি। কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দু-ইনিংসেই ব্যর্থ। কত রান করেছেন, এর চেয়েও বড় বিষয় ছিল তাঁর আউট হওয়ার ধরন। একশো টেস্টের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পূজারা প্রথম ইনিংসে জাজমেন্ট দিয়ে বোল্ড হন। তাঁর মতো অভিজ্ঞ ব্যাটার বুঝতেই পারেননি, অফস্টাম্প কোথায়!
দ্বিতীয় ইনিংসেও হতাশ করেন পূজারা। ক্রমশ সেট হচ্ছিলেন। কিন্তু একটি শর্ট পিচ ডেলিভারিতে আপারকাট খেলতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তাঁর এই আউট হওয়ার ধরন টিম ম্যানেজমেন্ট যে ভালো ভাবে নেবে না, পরিষ্কার ছিল। ফাইনালের পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সফর শুরু করে। পূজারার জন্য সেটাই যেন দেওয়াল লিখন ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন সফরেও স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ায় দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল।
আইপিএলের গত সংস্করণে চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করেছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। স্বভাববিরুদ্ধ বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখা গিয়েছিল। চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি স্বাধীনতা দিয়েছিলেন হাত খুলে খেলার। সেটাই করেছিলেন রাহানে। শ্রেয়স আইয়ারের চোট থাকায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের স্কোয়াডে রাখা হয় রাহানেকে। প্রায় দেড় বছরের ব্যবধানে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের মাঝে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দু-ইনিংসেই ভালো ব্যাটিং করেছিলেন রাহানে।
বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও রাখা হয় তাঁকে। খুব বেশি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। তবে তরুণ ব্যাটাররা যে ভাবে সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন রাহানে সেই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। এরপর আর কোনও টেস্ট ছিল না ভারতের। সে সময় ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর অবশ্য প্রত্যাশা দিয়েছিলেন রাহানেকে। বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন সফরে রাহানের অভিজ্ঞতা ভারতীয় টিমের সম্পদ। টিম বাছাইয়ে অবশ্য সেটা দেখা গেল না। রোহিত, বিরাটের মতো অভিজ্ঞদের পাশাপাশি নতুনদের মধ্যে জায়গা ধরে রেখেছেন যশস্বী জয়সওয়াল, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়রা। এশিয়া কাপেই চোট সারিয়ে ফেরা শ্রেয়স আইয়ার, লোকেশ রাহুলদেরও রাখা হয়েছে। এই স্কোয়াড যেন পরিষ্কার ইঙ্গিত দেয়, ভারতীয় দল সামনের দিকেই তাকিয়ে। আর তাতে ‘রাহানে’ ফিট করছেন না।
ঘোষিত টেস্ট স্কোয়াড: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, ঈশান কিষাণ, লোকেশ রাহুল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, শার্দূল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ, মুকেশ কুমার, মহম্মদ সামি (ফিটনেসের ওপর নির্ভর করছে), জসপ্রীত বুমরা (সহ-অধিনায়ক), প্রসিধ কৃষ্ণ