টি-টোয়েন্টির সিরিজের পরিস্থিতি ছিল এক, এখন পরিস্থিতি পুরো উল্টো। আবার অন্য ভাবে দেখলে, টেস্ট এবং ওয়ান ডে সিরিজ জয়ের পর অ্যাডভান্টেজ ছিল ভারতই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম দু-ম্যাচ হেরে চাপে ছিল ভারত। পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায়। তারই প্রস্তুতির সেরা সুযোগ। নতুনদের সুযোগ দেওয়া এবং দেখে নেওয়ার জন্য আদর্শ পরিস্থিতি। প্রথম দু-ম্যাচ হারে যেমন সমালোচনা হয়েছে, তেমনই যেন পরিস্থিতি অন্য পথ দেখিয়েছে ভারতীয় দলকে। সেরা সময়ে জেতা সহজ। কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো, এটাই আসল চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জই নিয়েছিল তরুণ দল। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে এই নিয়ে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে ভারত। এখনও অবধি অপরাজিত। আজ সেই রেকর্ড অক্ষত রাখার সুযোগ। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নির্ণায়ক পঞ্চম টি-টোয়েন্টি প্রিভিউ, বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বারবার একটা কথাই বলে এসেছেন, তিনি মনে করেন বোলাররাই ম্যাচ জেতাবে। বোলারদের জন্য পর্যাপ্ত রান করতে না পারলে সেটা ব্যাটারদের ব্যর্থতা। প্রথম দু-ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতাতেই ডুবেছিল ভারত। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে সূর্যকুমার যাদব ও তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটার তিলক ভার্মা অনবদ্য পারফর্ম করেন। সিরিজে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি মার্কিন মুলুকে। ফ্লোরিডায় চতুর্থ ম্যাচে আরও বিধ্বংসী ব্যাটিং ভারতের। এই মাঠে হাইস্কোরিং ম্যাচই হয়। তবে ১৭৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটের বিশাল জয় আত্মবিশ্বাসী করবে ভারতীয় শিবিরকে।
গত কয়েক ম্যাচে সেই অর্থে রান পাচ্ছিলেন না শুভমন গিল। ঈশান কিষাণও ওপেনিংয়ে ভরসা দিতে না পারায় তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল যশস্বী জয়সওয়ালকে। অভিষেক ম্যাচে উত্তেজনায় লাগাম টানতে পারেননি যশস্বী। সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে সতর্ক শুরু করেন। উল্টোদিকে শুভমনও রানে ফিরতে মরিয়া ছিলেন। যেন কোনও মিশন-এ নেমেছিলেন দুই তরুণ ব্য়াটার। শুরুতে দুটো ওভার পরিস্থিতি বুঝে নিতেই হাত খোলেন। ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ১৬৫ রান! জয়ের খুব সামনে এসে আউট হন শুভমন। যশস্বী অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন। একই মাঠে নির্ণায়ক ম্যাচ। এই জুটি ব্যাটিংয়ের যা রূপ দেখালেন, সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা করাটাই স্বাভাবিক ভারতীয় শিবিরের।
ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, রাত ৮টা, দূরদর্শন ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার