নামের সঙ্গে জুড়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রত্যাশাও বেড়েছে। তিন ফরম্যাটেই দেশের হয়ে নিয়মিত ওপেন করেন যশস্বী জয়সওয়াল। বিশ্বকাপে অবশ্য একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি যশস্বী। তবে বাকি প্লেয়ারদের সঙ্গে প্রস্তুতি চালিয়ে গিয়েছেন। জিম্বাবোয়ে সিরিজের জন্য তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়েই দল গড়া হয়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর টিমের সঙ্গে দেশে ফিরেছিলেন যশস্বী, সঞ্জু ও শিবম দুবে। বেরিল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে টিম আটকে পড়েছিল বার্বাডোজে। দেশে ফিরে জিম্বাবোয়ে যাওয়ায় তাঁদের দেরি হত। সে কারণেই প্রথম দু-ম্যাচের স্কোয়াডে এই তিনজেনর পরিবর্ত পাঠানো হয়। যশস্বীরা স্কোয়াডে যোগ দিতেই সরাসরি একাদশে।
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেই একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল, শিবম দুবে এবং সঞ্জু স্যামসন। বিশ্বজয়ী দলের তিন সদস্যের মধ্যে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স ছিল যশস্বীরই। তবে শুরুটা যেমন করেছিলেন, স্পিনাররা আসতেই তাঁর রানের গতিতে ভাটা পড়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে একই ফ্লো-তে ব্যাটিং চালিয়ে গেলেন। বোর্ডে টার্গেট আরও একটু বেশি থাকলে হয়তো সেঞ্চুরিই হয়ে যেত। বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন যশস্বী। ৯৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতে নেন।
ম্যাচ শেষে যশস্বী বলেন, ‘ম্যাচটা উপভোগ করেছি। সমস্ত শট খেলার চেষ্টা করেছি।’ পিচে অবশ্য ব্যাটারদের শট খেলতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। জিম্বাবোয়ে ইনিংসেও সেটা দেখা যায়। তার কারণ জানালেন ভারতের ওপেনার। যশস্বী বলছেন, ‘বল নতুন থাকা অবধি ঠিকই ছিল। বল পুরনো হতেই সমস্যা হচ্ছিল। সেটা বুঝতে পেরেই খেলার স্টাইল পাল্টেছিলাম। শুরু থেকে আমার ভাবনা ছিল শট খেলব, এরপর স্ট্রাইক রোটেট করার প্ল্যান করি। শুভমনের সঙ্গে সেটাই কথা হচ্ছিল।
বিশ্বজয়ের অনুভূতি এবং এই সময়টাতে নিজেকে কী ভাবে প্রস্তুত করেছেন সে কথাও জানালেন। যশস্বীর কথায়, ‘বিশ্বজয়ের অনুভূতিই আলাদা। তারপর এখানে টিমের সঙ্গে যোগ দিলাম। আমার প্রস্তুতি খুবই ভালো ছিল। স্লিপিং প্যাটার্ন, ডায়েট সব কিছুতেই শৃঙ্খল থাকার চেষ্টা করেছি। পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য লেগস, কোর স্ট্রেন্থে জোর দিচ্ছি। বলতে সোজা, করতে কঠিন। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।’