AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

IND vs AUS 4th T20 Cricket Highlights: স্লগ ওভারে অনবদ্য বোলিং, সিরিজ জয় ভারতের

India vs Australia 4th T20I Cricket Match Result: এক দিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছে। প্রত্যাশামতোই টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে রয়েছেন রিঙ্কু সিং। সীমিত সুযোগে তিনি যে ভাবে ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন, তাতে দলে জায়গা ধরে রাখাটাই নিশ্চিত ছিল। চমক রয়েছে ওয়ান ডে স্কোয়াডে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ান ডে টিমেও রিঙ্কুকে রেখেছেন নির্বাচকরা। তাদের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক, ওডিআইতে সুযোগ পাওয়ার পরদিনই যেন প্রমাণ করে দিলেন।

IND vs AUS 4th T20 Cricket Highlights: স্লগ ওভারে অনবদ্য বোলিং, সিরিজ জয় ভারতের
Image Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2023 | 11:21 PM
Share

রায়পুর: গত ম্যাচে শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান। ক্রিজে ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েড। রায়পুরে চতুর্থ ম্যাচেও পরিস্থিতি অনেকটা তেমনই দাঁড়াল। শেষ তিন ওভারে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৭ রান। তবে গত ম্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ছিলেন। এই ম্যাচে তিনি নেই। তেমনই ভারতের স্লগ ওভার বোলিংয়ে রয়েছেন দীপক চাহার, মুকেশ কুমাররা। শেষ মুহূর্তে প্রকৃত অর্থেই কাটে কা টক্কর হয়ে দাঁড়ায়। লড়াইটা ছিল মূলত ভারতীয় বোলিং বনাম ম্যাথিউ ওয়েড। জয়ের হাসি ভারতের। স্লগ ওভারে অনবদ্য বোলিং আবেশ খানেরও। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজও জিতল ভারত। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। বোলিংয়ে মুকেশ কুমার। বাউন্ডারিতে ওভার শুরু করেন ওয়েড। ১৯তম ওভারে ৯ রান দিলেন মুকেশ। শেষ ওভারে অজিদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩১ রান। আবেশ খানের কাছে কঠিন পরীক্ষা ছিল। স্ট্রাইকে ম্যাথিউ ওয়েড। উল্টোদিকে ভরসা দেওয়ার মতো ব্যাটার না থাকায় সিঙ্গল নেননি ওয়েড। ফলে ৫ বলে ৩১ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। পরের বলেও সিঙ্গল নেননি। ৪ বলে ৩১ দাঁড়ালে ভারতের জয় সেখানেই নিশ্চিত হয়ে যায়। নো বল না হলে এই লক্ষ্যে কোনও ভাবেই পৌঁছনো সম্ভব নয়। স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে অনবদ্য বোলিং আবেশের। শেষ অবধি ২০ রানের অনবদ্য জয়। ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম সিরিজই জিতলেন সূর্য।

চতুর্থ ম্যাচ পুরোপুরি টিম গেমে জয়। বোলিংয়ে অক্ষর প্যাটেল, দীপক চাহার, মুকেশ কুমার, রবি বিষ্ণোই, আবেশ খান সকলকেই কৃতিত্ব দিতে হবে। তেমনই ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদবকেও। বোলারদের দুর্দান্ত ভাবে ব্যবহার করেছেন এই ম্যাচে। ব্যাটিংয়ে অবশ্য অনেকটাই হতাশা ছিল। বিশেষ করে টপ অর্ডারে। পরপর উইকেট হারিয়ে অস্বস্তি। একদিকে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় থাকলেও উল্টোদিকে উইকেট পড়তে থাকে। এরপরই ক্রিজে প্রবেশ রিঙ্কু সিংয়ের।

রিঙ্কু সিং প্রসঙ্গ উঠলে, প্রথম যেটা সকলেই বলে থাকবেন, ‘ফিনিশার’। ইনিংসের শেষ দিকে নামবেন, চার-ছক্কা মারবেন, ব্যস শেষ। এক দিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছে। প্রত্যাশামতোই টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে রয়েছেন রিঙ্কু সিং। সীমিত সুযোগে তিনি যে ভাবে ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন, তাতে দলে জায়গা ধরে রাখাটাই নিশ্চিত ছিল। চমক রয়েছে ওয়ান ডে স্কোয়াডে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ান ডে টিমেও রিঙ্কুকে রেখেছেন নির্বাচকরা। তাদের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক, ওডিআইতে সুযোগ পাওয়ার পরদিনই যেন প্রমাণ করে দিলেন।

অল্পের জন্য প্রথম হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় রিঙ্কুর। অভিষেককারী জীতেশ শর্মাকে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন। সে কারণেই অজিদের ১৭৫ রানের টার্গেট দিতে পেরেছে ভারত। বাকি কাজটা ভালো ভাবেই কমপ্লিট করেছেন বোলাররা। ফিল্ডিংয়ে কিছুটা হতাশা থাকলেও, জয়ের পর সে সব আলোচনা থেমে যায়।