মীরপুর : প্রত্যাশা করা হয়েছিল, মীরপুরের পিচ ব়্যাঙ্ক টার্নার হবে। প্রথম দিনই যে টার্ন এবং বাউন্স দেখা গেল, তাতে দ্বিতীয় দিন থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হয়তো স্পিনারদের হাতেই। কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে ব্যাটারদের জন্য। এমন পরিস্থিতিতে কুলদীপ যাদবে বসিয়ে তিন পেসারের কম্বিনেশন ভারতের। কুলদীপের চোট রয়েছে কী না, বোর্ডের তরফে এ বিষয়ে জানানো হয়নি। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ। ম্যাচের আগে দু-দলেই কিছু আশঙ্কা ছিল। ম্যাচ শুরুর পর সেই আশঙ্কা কমেছে। বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২৭ রানেই অলআউট করে ভারত। মোমিনুল হক রুখে না দাঁড়ালে এই রান অবধিও পৌঁছতে পারত না বাংলাদেশ। মীরপুর টেস্টের প্রথম দিনের বিস্তারিত রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
মীরপুর টেস্টে ইতিহাস ভারতের বাঁ হাতি পেসার জয়দেব উনাদকাটের। টেস্ট অভিষেক হয়েছিল এক য়ুগ আগে। সেই ম্য়াচে অবশ্য উইকেট পাননি। এক টেস্ট খেলেই দলে জায়গা হারিয়েছিলেন। বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় শিবিরে একঝাঁক চোট থাকায় সুযোগ। আর অভিষেকের ১২ বছর পর কেরিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম উইকেট! সিরাজ, উমেশের পর প্রথম পরিবর্ত হিসেবে বোলিং উনাদকাটের। অবশেষে ইনিংসের ১৫তম ওভারে প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ পেলেন। উমেশ যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৪ উইকেট। উনাদকাট নেন ২টি উইকেট। বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানেই অলআউট করে ভারত। কিছুটা লড়াই মোমিনুল হকের। তিনে নামা মোমিনুল সর্বাধিক ৮৪ রান করেন।
ম্যাচের আগে আশঙ্কা ছিল অনুশীলনে লোকেশ রাহুলের চোট। যদিও ব্য়াটিং কোচ বিক্রম রাঠোর আশ্বস্ত করেছিলেন। রাহুল খেললেন। তবে মীরপুরের পিচে কেন কুলদীপকে খেলানো হল না, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। ম্যাচের প্রথম দিনই অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৪ উইকেট নিলেন। কুলদীপ গত ম্যাচে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেও বাদ। বাংলাদেশ শিবিরে আশঙ্কা ছিল, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বোলিং করতে পারবেন কী না। মন্দ আলোয় নির্ধারিত সময়ের আগেই দিনের খেলা শেষ হয়। ৮ ওভারে বিনা উইকেটে ১৯ রান তুলেছে ভারত। এর মধ্যে সাকিব করেন ৪ ওভার। সাকিবের বোলিং খেলতে যথেষ্ঠ অস্বস্তিতে পড়লেন লোকেশ রাহুল। সবমিলিয়ে ৩০ বল খেলে ৩ রান তাঁর। শুভমন ২০ বলে ১৪ রান করেছেন। দ্বিতীয় দিন থেকে টার্ন যে বাড়বে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। ব্য়াটারদের জন্য কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। আর সে কারণেই বলা যায়, বাংলাদেশকে ২২৭ রানে অলআউট করেও স্বস্তিতে নেই ভারত।