মীরপুর : চতুর্থ ইনিংসে ব্য়াট করা কঠিন হবে, এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। হলও তাই। দিনের শেষে চার উইকেট হারিয়ে চাপে ভারতই। অনবদ্য প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ২২৭ রানে অলআউট হয়। জবাবে ভারত প্রথম ইনিংসে ৩১৪ রান করে। শ্রেয়স আইয়ার-ঋষভ পন্থ জুটির দাপুটে ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৮৭ রানের লিড নেয় ভারত। দু-জনই শতরান হাতছাড়া করলেও কাউন্টার অ্যাটাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ বোলিংকে। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। কেউ এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে না থাকলেও এটুকু বলা যায় রুদ্ধশ্বাস শেষের পথে মীরপুর টেস্ট। তৃতীয় দিনের বিস্তারিত রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে জিতেছে ভারত। সেই ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন বাঁ হাতি চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব। যদিও মীরপুরে স্পিন সহায়ক পিচে তাঁকে বাদ দেয় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সুনীল গাভাসকর, হরভজন সিংয়ের মতো ভারতের একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার। কুলদীপের মতো স্পিনার থাকলে ভারত অ্যাডভান্টেজ থাকতো বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারত ৮৭ রানের লিড নিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য ব্যাটিং বাংলাদেশের। ওপেনার জাকির হাসান অর্ধশতরান করেন। তবে শেষ দিকে লিটন দাসের ঝোড়ো ইনিংস পার্থক্য গড়ে দেয়। লিটন ৯৮ বলে ৭৩ রান করেন। নুরুল হাসান ও তাসকিন আহমেদ, দু-জনই ৩১ রান করেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩১ রানের সৌজন্যে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৫ রান। মনে হতে পারে, এই লক্ষ্য সহজ। যদিও মীরপুরের ঘূর্ণি পিচে এই রানটাই বিশাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে বোলিং ওপেন করেন দুই বাঁ হাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম। প্রথম পরিবর্ত হিসেবে আক্রমণে আসেন অফস্পিনার মেহদি হাসান মিরাজ। তিনিই পার্থক্য় গড়ে দেন। ৮ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মেহদি। আর একটি উইকেট সাকিবের। মাত্র ৩৭ রানের মধ্যেই লোকেশ রাহুল, চেতেশ্বর পূজারা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলিরা আউট হয়ে ফিরেছেন। তৃতীয় দিনের শেষে ক্রিজে অক্ষর প্যাটেল ও জয়দেব উনাদকাট। দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৪ উইকেটে ৪৫। এখনও প্রয়োজন ১০০ রান।