IND vs BAN ICC WC Match Preview: জয়ের লক্ষ্যে ভারতের ভাবনায় বাংলাদেশের দুই বাঁ হাতি পেসার
India vs Bangladesh ICC world Cup 2023: উইনিং কম্বিনেশনই ধরে রাখা হবে। সুতরাং, বোলিং আক্রমণে দুই স্পিনার জাডেজা-কুলদীপ। পেস বোলিংয়ে বুমরা, সিরাজের সঙ্গে হার্দিক এবং শার্দূল ঠাকুর। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এই স্টেডিয়ামে প্রথম বার বিশ্বকাপের ম্যাচ হতে চলেছে। পরিবেশ-পরিস্থিতি কিছুটা হলেও অচেনা। সেটা দু-দলের কাছেই। আবেগের দিক থেকে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ অন্তত এ বারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের চেয়েও বেশি আকর্ষণীয় হতে পারে, এটুকু বলা যায়।
বিশ্বকাপে কোনও দল বড় নয়। বিরাট কোহলির এই সতর্কবার্তা ভুল নয়। এই বিশ্বকাপ ইতিমধ্যেই জোড়া অঘটন দেখেছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে আফগানিস্তান। টুর্নামেন্টে অনবদ্য ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চমক দিয়েছে আইসিসি সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডস। টুর্নামেন্টে ফেভারিটের মতো খেলছে টিম ইন্ডিয়া। একটা ভুল বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। আজ ভারতের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। যদিও প্রতিপক্ষকে হালকা নিতে নারাজ ভারতীয় শিবির। তার নানা কারণ রয়েছে। অতীত এবং পরিসংখ্যান। যা হেলাফেলা করা যায় না। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ক্যারিবিয়ানের সেই বিশ্বকাপ ভারতের কাছে এখনও অস্বস্তির। ২০০৭ সালে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল ভারত। তখনকার পরিস্থিতি, আর বর্তমান পুরোপুরি আলাদা। প্রতিপক্ষকে সমীহ করাই শ্রেয়। ভারতীয় টিমও তাই করছে। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ ও বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় জন এ বারও আছেন। প্রথম দু-ম্যাচে অনবদ্য ব্যাটিংও করেছেন। এই ম্যাচেও নজরে বিরাটের ব্যাট।
গত এক বছর ওয়ান ডে-তে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান খুবই ভালো। ৩-১ এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে এশিয়া কাপও রয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল ভারত। যদিও বেশ কয়েকজনকে সেই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। সেটা কোনও অজুহাত হতে পারে না। বরং বড় মঞ্চের কথা বললে, গত কয়েক বছরে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়। কিছুক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আকর্ষণকেও ছাপিয়ে যায়। সেটা গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই হোক কিংবা এ বারের এশিয়া কাপ। এমনকি মহিলা দলের ক্ষেত্রেও ভারত-বাংলাদেশ গত সিরিজ রুদ্ধশ্বাস হয়েছিল।
ভারতীয় দল দুর্দান্ত ফর্মে। জয়ের হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামছে। গত ম্যাচে পাকিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়স আইয়াররা ফর্মে। তেমনই বোলিংয়ে বুমরা, সিরাজ, হার্দিকরা আগুন ঝরাচ্ছেন। স্পিন বোলিংয়ে জাডেজা-কুলদীপ ফর্মে। তারপরও কেন সতর্ক থাকতে হচ্ছে? বাংলাদেশ টিমের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড তার একটা কারণ। আর বাংলাদেশ বোলিং লাইন আপে দুই বাঁ হাতি পেসার রয়েছেন। মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম। প্রথম জন অতীতেও ভারতকে চাপে ফেলেছেন, আইপিএলেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। শরিফুলকেও ভুললে চলবে না। আর স্পিন বোলিংয়ে সাকিব আল হাসান যে কোনও পরিস্থিতিতে ম্যাচের রং বদলানোর ক্ষমতা রাখেন।
ভারতের বোলিং কোচের যা ইঙ্গিত, এই ম্যাচে উইনিং কম্বিনেশনই ধরে রাখা হবে। সুতরাং, বোলিং আক্রমণে দুই স্পিনার জাডেজা-কুলদীপ। পেস বোলিংয়ে বুমরা, সিরাজের সঙ্গে হার্দিক এবং শার্দূল ঠাকুর। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এই স্টেডিয়ামে প্রথম বার বিশ্বকাপের ম্যাচ হতে চলেছে। পরিবেশ-পরিস্থিতি কিছুটা হলেও অচেনা। সেটা দু-দলের কাছেই। আবেগের দিক থেকে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ অন্তত এ বারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের চেয়েও বেশি আকর্ষণীয় হতে পারে, এটুকু বলা যায়।