ভারত সফরে আসার আগে অনেক কথা উঠেছিল। বাজবল দিয়ে আতঙ্ক ধরানোর পরিকল্পনা ছিল ইংল্যান্ডের। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম কোচ এবং বেন স্টোকস টেস্টে নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতেই বাজবল শুরু। কিন্তু এই সিরিজে এখনও অবধি বাজবল কাজ করছিল না। রাজকোট টেস্টের প্রথম ইনিংসে শুরুতে অনবদ্য ব্যাটিং করছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে খাবি খেল ইংল্যান্ড। বাজ বল হয়ে দাঁড়াল ‘বাজে-বল’! বরং শেষ উইকেটে মার্ক উডের ১৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস হারের ব্যবধান সামান্য কমাল। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১২২ রানেই শেষ ইংল্যান্ড। ৪৩৪ রানের বিশাল জয় ভারতের। সিরিজে ২-১ এগিয়ে গেলেন রোহিতরা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইংল্যান্ড শিবির একটা দাবি বারবার করে, বোর্ডে যত বড় টার্গেটই থাকুক তারা জয়ের জন্য ঝাঁপাবে! যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং তাগিদ অবাক করার মতোই। আক্রমণ করবে না ডিফেন্স, এই দ্বিধায় ভুগলেন। প্রথম ইনিংসে রোহিত-জাডেজার সেঞ্চুরিতে ৪৪৫ রানের বিশাল স্কোর ভারতের। জবাবে ইংল্যান্ড যে ভাবে ব্যাট করছিল, একটা সময় মনে হয়েছিল, প্রথম ইনিংসে লিডও নিতে পারে। বিশেষ করে বলতে হয় বেন ডাকেটের কথা। অ্যালেস্টার কুকের পর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে ভারতের মাটিতে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। তবে মহম্মদ সিরাজের অনবদ্য বোলিংয়ে ৩১৯ রানেই শেষ ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে যশস্বী জয়সওয়ালের ডাবল সেঞ্চুরি। শুভমন গিলের ৯১ এবং সরফরাজ খানের হাফসেঞ্চুরিতে ৪৩০-৮ স্কোরে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে ভারত। ‘ঘরের মাঠে’ রবীন্দ্র জাডেজার প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ইনিংসে ফাইফার। ৪৩৪ রানের জয়ে সিরিজে লিড নিল ভারত। মায়ের অসুস্থতার কারণে ম্যাচের মাঝেই বাড়ি ফিরেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাড়ির সমস্যা কিছুটা মিটিয়েই দলের সঙ্গে যোগ দেন। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৬ ওভার বোলিংয়ে সুযোগ পেলেন। ৩টি মেডেন সহ ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেটও নিলেন অশ্বিন।