টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশের একাদশতম অধিনায়ক। বোলারদের মধ্যে প্রথম। আর ক্যাপ্টেন হিসেবে অভিষেক সিরিজেই জয় জসপ্রীত বুমরার। বোলারও যে দক্ষ অধিনায়ক হতে পারেন, তার ছাপ রাখছেন। বুমরার বোলিং পরিবর্তন, ফিল্ড সেটিং সবই নজর কাড়ছে। এতে অবশ্য নিজের পারফরম্যান্সে ছাপ পড়েনি। গুরুতর চোটে প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে ছিলেন। প্রত্যাবর্তন সহজ ছিল না। তাও আবার সরাসরি ক্যাপ্টেন! বোলিং এবং নেতৃত্ব, দুই দায়িত্বই দুর্দান্ত ভাবে পালন করছেন জসপ্রীত বুমরা। আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দু-ম্যাচ জিতে ২-০ সিরিজও জিতে নিল ভারত। সিরিজ জিতেও চিন্তায় জসপ্রীত বুমরা। ম্যাচ শেষে এমনটাই বলেন ভারত অধিনায়ক। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জোড়া অভিষেক হয়। প্রসিধ কৃষ্ণা ওয়ান ডে ফরম্য়াটে এর আগে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। চোট এবং অস্ত্রোপচারের কারণে বুমরার মতোই দীর্ঘ সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হল তাঁর। দু-ম্যাচেই নজর কাড়লেন। বুমরা অনেকটা শান্ত, ধীর স্থির গতিতে ফিরছেন। অন্য দিকে, আগুন ঝড়াচ্ছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের আগে যা প্রবল স্বস্তির। দলের তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক বুমরা। যেই সুযোগ পাচ্ছেন, কাজে লাগাচ্ছেন। সেটাই নাকি চিন্তার বিষয় বুমরার কাছে!
সিরিজ জিতে বুমরা বলেন, ‘দলের তরুণ ক্রিকেটাররা সকলেই আত্মবিশ্বাসী। নেটে সর্বস্ত দিয়ে অনুশীলন করে। সকলেই ম্যাচে নামার জন্য প্রস্তুত। ক্যাপ্টেন হিসেবে আর কী চাই! আমাদেরও তো দেশের হয়ে খেলার এই স্বপ্নটাই ছিল। ক্যাপ্টেন হিসেবে একাদশ বেছে নেওয়াটা খুবই কঠিন কাজ।’ নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে অবশ্য কোনও চাপ নেই বলেই মত বুমরার। বলছেন, ‘প্রত্যাশা থাকবেই। সেই চাপ বয়ে বেড়াতে চাই না। যদি শিখতে হয়, সাফল্য পেতে গেলে এই সমস্ত কিছু এক পাশে রেখে ফোকাস করতে হবে।’
দ্বিতীয় ম্যাচে নিজের বোলিং নিয়েও স্বস্তি বেড়েছে বুমরার। বলছেন, ‘ভালো লাগছে। এই ম্যাচে তুলনামূলক গতি বাড়াতে পেরেছি। ভেবেছিলাম, পিচ পরের দিকে আরও মন্থর হবে। সে কারণেই বোর্ডে বড় রান তুলতে চেয়েছিলাম। পরের দিকে পিচ মন্থরই হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে।’