আয়ার্ল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জোড়া অভিষেক হয় ভারতীয় দলে। প্রসিধ কৃষ্ণা এবং রিঙ্কু সিং। দ্বিতীয় জনকে নিয়ে প্রবল আগ্রহ ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে । আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন হলেও চেনা মুখ। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে দীর্ঘ কয়েক বছর রয়েছেন। তবে উত্তরণ দেখা গিয়েছে আইপিএলের ১৬তম সংস্করণে। রিঙ্কু সিং বলতে প্রথম যে বিষয়টি মাথায় আসবে, তা হল পরিশ্রমী ক্রিকেটার। নেটে বাকিদের তুলনায় অনেক বেশি সময় কাটান। শটে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করেন। তার চেয়েও ভালো দিক, তাঁর ফিল্ডিং। সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা রিঙ্কুকে হয়তো এখনই কারও সঙ্গে তুলনায় আনা ঠিক নয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে বেশ মিল রয়েছে। আচ্ছা, রিঙ্কুকে কি বাঁ হাতি বিরাট বলা যায়? TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে চলুন বোঝার চেষ্টা করা যাক।
কলকাতা নাইট রাইডার্সে একটা সময় রিঙ্কু সিং ছিলেন, স্টপ গ্যাপ। ম্যাচ চলাকালীন কারও চোট লেগেছে! কোনও ব্যাপার না। ফিল্ডিংয়ের জন্য রিঙ্কু সিং রয়েছে তো! তাঁর ফিল্ডিং এতটাই ভালো, বাড়তি ভরসা করা যায়। হাই ক্যাচের ক্ষেত্রে বিশ্বের তাবড় তাবড় ফিল্ডাররাও চাপে থাকেন। রিঙ্কুকে সেখানেও আত্মবিশ্বাসী দেখায়। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ফিল্ডাররা বল আসার অপেক্ষা করেন। বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাডেজার মতো ফিল্ডাররা উল্টোটা করেন। তাঁরা বলের কাছে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যান, বাড়তি রান নেওয়ার ক্ষেত্রে বারবার ভাবতে হয় ব্যাটারকে। রিঙ্কু সিংয়ের মধ্যেও এই বিষয়টি রয়েছে। প্রথম টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। ফিল্ডিংয়ে অন্তত ২০টা রান বাঁচিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং পেয়েই ভরসা দিলেন।
টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আয়ার্ল্যান্ড অধিনায়ক পল স্টার্লিং। স্পিনার বেন হোয়াইটের ডেলিভারিতে সঞ্জু ফিরতেই ক্রিজে রিঙ্কু সিং। তিনি যে ব্যস্ত ক্রিকেটার এ আর নতুন কী! প্রথম বলেই সিঙ্গল নিলেন। আট নম্বর ডেলিভারিতে বাউন্ডারিও মারলেন। গ্যালারি ঝুঁকে সেলাম জানায় রিঙ্কুকে। এরপরই বিধ্বংসী মেজাজে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ফিনিশার হওয়ার দক্ষতা রয়েছে রিঙ্কুর। আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেছিলেন। নতুন তারকা হয়ে উঠেছিলেন। জাতীয় দলের হয়েও প্রথম ইনিংসেই নজর কাড়লেন। স্লগ ওভারে অনবদ্য ব্যাটিং। ইনিংসে এক বল থাকতে আউট হন। ২১ বলে ৩৮ রানের অনবদ্য ইনিংস। দুটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি। ব্যস্ততা, জনপ্রিয়তা, অনবদ্য ফিল্ডিং এবং দাড়ির স্টাইল, অনেকটা যেন বিরাটের মতোই।