ভারতীয় টেস্ট দল ঘরের মাঠে স্পিনেই ডুবেছে। টি-টোয়েন্টি টিম দক্ষিণ আফ্রিকায় স্পিনেই দাপট দেখাল। সঞ্জু স্যামসনের সেঞ্চুরির সৌজন্যে বোর্ডে ২০২ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ভারত। জবাবে পাওয়ার প্লে-তেই তিন উইকেট নিয়েছিল ভারতীয় বোলিং আক্রমণ। এর মধ্যে পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে একটি উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর। প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডারে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ভারতের দুই লেগ স্পিনার বরুণ ও রবি। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভার ব্য়াট করতে পারবে কিনা, তা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়। ভারতীয় স্পিনাররা সেই দাপটই দেখালেন। দুই লেগ স্পিনারের ঝুলিতে ৩টি করে উইকেট। ডারবানে প্রথম ম্যাচে ৬১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারতের।
পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেট হারালেও প্রোটিয়া শিবিরে ভরসা ছিল হেনরিখ ক্লাসেন-ডেভিড মিলার জুটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও ভারতকে এই জুটিই চাপে রেখেছিল। এ বছর টি-টোয়েন্টিতে ছয়ের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হেনরিখ ক্লাসেন। পরের বলেই তাঁকে ফেরান বরুণ চক্রবর্তী। দুই স্পিনার বরুণ ও রবি বিষ্ণোই চাপে রেখেছিলেন ডেভিড মিলার ও ক্লাসেনকে। চাপের মুখেই খেই হারান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ২৩ কোটির ক্লাসেন। এক বলের ব্যবধানে ডেভিড মিলারকেও ফেরান বরুণ চক্রবর্তী। ৮৭ রানে মিলারের উইকেট হারাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের যাবতীয় আশা শেষ। অর্ধেক ব্যাটিং লাইন আপ ড্রেসিংরুমে। ভারতের অপেক্ষা ছিল আর পাঁচ উইকেটের। প্রতিপক্ষকে অলআউট করাই ছিল টার্গেট।
পরের ওভারেই প্যাটট্রিক ক্রুগারের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রবি বিষ্ণোইয়ের বোলিংয়ে হার্দিকের হাতে ক্যাচ। ৮৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্রুতই রবি বিষ্ণোইয়ের শিকার সিমেলানে। অবশেষে ১৪তম ওভারে বোলিংয়ের সুযোগ পান বাঁ হাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। রবি বিষ্ণোইয়ের বোলিংয়ে মার্কো জানসেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে একটি ক্যাচও দিয়েছিলেন। টাফ চান্স মিস হয় হার্দিকের। পরের বলেই হার্দিকের ক্যাচেই ফেরেন জানসেন।
ভারতের জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। ১৬তম ওভারে হার্দিকের বোলিংয়ে পরপর বিশাল ছয় মেরে ম্যাচ জমিয়ে দেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলা পেসার জেরাল্ড কোৎজে। শেষ চার ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭৪ রান। ভারতের প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভার ব্যাট করবে নাকি ভারত দ্রুত ২ উইকেট তুলে নেবে, নজর ছিল সেদিকেই।
ইনিংসের ১৭তম ওভারে অর্শদীপ সিং আক্রমণে। পরিবর্ত হিসেবে দুর্দান্ত ফিল্ডিং রমনদীপের। তার পরের ডেলিভারিতেই লো ফুলটস। কেশব মহারাজ শট খেলেই রান নিতে দৌড়েছিলেন। জেরাল্ড কোৎজেকে ডিরেক্ট থ্রোয়ে রান আউট করেন স্কাই। শেষ উইকেট হিসেবে ক্রিজে নাবাওমজি পিটার। আবেশ খানকে আক্রমণে এনে দ্রুত ম্যাচ শেষ করায় নজর দেন স্কাই। অবিশ্বাস্য একটা ক্যাচের ট্রাই রমনদীপের। বল হাত থেকে বেরিয়ে যায়। ১৮তম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে কেশব মহারাজের উইকেট ছিটকে প্রোটিয়া ইনিংস শেষ করেন আবেশ খান। ৬১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ভারতের। আবেশের ঝুলিতে ২ উইকেট।