বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ভারত। টানা সাত ম্যাচ জিতে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ইডেনে আজ তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। সাত ম্যাচের মধ্যে তারা জিতেছে ছ’টি ম্যাচ। এক দিন আগেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে অঙ্কটা ছিল, বাকি দু-ম্যাচের মধ্যে অন্তত একটি জিতলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের হারে আর কোনও অঙ্কে নির্ভর করতে হচ্ছে না। ইডেন গার্ডেন্সে নামার আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ফলে আজ শুধু টেবল টপার দুই দলের নয়, অনেকের মতে ‘ফাইনালের’ মহড়াও! বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এ বারের বিশ্বকাপে বেশ কিছু অঘটন দেখা গিয়েছে। এর অন্যতম শিকার দক্ষিণ আফ্রিকা। একের পর এক বিধ্বংসী পারফরম্যান্সে জেতা এই প্রোটিয়ারাই নেদারল্য়ান্ডসের কাছে হেরেছে। তেইশের বিশ্বকাপে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটিং আক্রমণ বলা যায় দক্ষিণ আফ্রিকাকেই। চারটে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাঁ হাতি কিপার ব্যাটার কুইন্টন ডি’কক। রাসি ভ্যান ডার ডুসেন দুটি। সেঞ্চুরি রয়েছে হেনরিখ ক্লাসেন, এইডেন মার্কর্যাম। মিডল ও লোয়ার অর্ডারে মারকাটারি ইনিংস উপহার দিয়েছেন ডেভিড মিলার, মার্কো জানসেন। ব্যাটিং আক্রমণ যেন শেষই হতে চায় না। ইডেনের বাইশ গজে কী অপেক্ষা করছে, এটাই যেন রহস্য।
ভারতীয় ব্যাটিং আক্রমণ অবশ্য টিম গেমে বিশ্বাসী। কোনও এক ব্যাটারের ওপর নির্ভরশীল নয়। আর বোলিং লা-জবাব। প্রথম পাঁচ ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। গত দু-ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ২২৯ রানের পুঁজি নিয়েও একশো রানের বিশাল ব্যবধানে জয়। পেস বোলিং বিভাগের বিধ্বংসী পারফরম্যান্সে কিছুটা কি ঢাকা পড়ে গিয়েছে স্পিনারদের পারফরম্যান্স?
ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও তাই মনে করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে পেসারদের যেমন প্রশংসায় ভরিয়ে দেন, তেমনই মনে করিয়ে দেন মিডল ওভারে জাডেজা, কুলদীপের অবদান। জাডেজাকে কমপ্লিট প্যাকেজও সম্বোধন করেন। বোলিং, ব্যাটিংয়ে অবদান রাখছেন। আর তাঁর ফিল্ডিং যে কোনও ম্যাচেই ফ্যাক্টর। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচকে ফাইনালের মহড়া দেখতে নারাজ রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর সাফ কথা, ফাইনালের মঞ্চে যেতে এখনও অনেকটা পথ বাকি। ইডেনের ম্যাচকে টুর্নামেন্টে এখনও অবধি দুই সেরা দলের লড়াই হিসেবেই দেখছেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ।
পুরোপুরি আউট অব কনটেক্সট নয়। এমনই একটা পরিস্থিতি। বিশ্বকাপের মঞ্চ, ঐতিহ্যের ইডেন, দুই ধারাবাহিক দলের লড়াইয়ের মাঝেও অপেক্ষা বিরাট শোয়ের। বিরাট কোহলির আজ জন্মদিন। এমন একটা দিনে যদি ৪৯তম সেঞ্চুরিতে সচিন তেন্ডুলকরের ওডিআই রেকর্ড ছোঁয়া যায়? সঙ্গে যদি দলও জেতে। এর চেয়ে বড় উপহার যেন কিছুই হতে পারে। বিরাটের নিজের জন্য তো অবশ্যই, সঙ্গে দেশের জন্য এবং ইডেনের হাজার হাজার সমর্থকদের জন্য। বিরাট শোয়ের অপেক্ষায় মাঠ ভরাবেন ক্রিকেট প্রেমীরা। জোড়া প্রত্য়াশা পূরণ হয় কিনা, সেদিকেই নজর।