হাতে প্রায় দেড় দিন, লক্ষ্য ৩৬৫ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটাররা ব্লক করবেন নাকি রান তাড়া! পরিকল্পনা বোঝা গেল না। এত বড় লক্ষ্য হত না। দ্বিতীয় ইনিংসের ভারতীয় ব্যাটিং বিশ্বের যে কোনও দলের কাছেই আতঙ্ক জাগানোর মতো। টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ দিনের পিচে ওভার প্রতি ৭.৫৪ রান! এমনটাই হল। রোহিত, যশস্বী, ঈশান কিষাণরা দেখিয়ে দিলেন টেস্টেও কী ভাবে বাজবলের চেয়েও বিধ্বংসী ব্যাটিং করা যায়। রান তাড়ায় চতুর্থ দিন ২ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিন ভারতের চাই ৮ উইকেট। তবে বৃষ্টি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরিসংখ্যান উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রথম ইনিংসে প্রায় ১১৬ ওভার ব্যাট করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পিচ থেকে বোলারদের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনও সহায়তা নেই। তবে এই পিচেও কাজ হাসিল করলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্রথম টেস্ট জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুটি উইকেটই অশ্বিনেকর দখলে। সব মিলিয়ে এই সফরে চার ইনিংসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেগ ব্রেথওয়েটকে আউট করেন অশ্বিন।
বিশাল লক্ষ্যের পাশাপাশি অনেকটা সময় কাটানো প্রয়োজন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং জুটি শুরু থেকে যথেষ্ঠ সতর্ক। অধিনায়ক ক্রেগ ব্রেথওয়েট মূলত স্কোরবোর্ড সচল রাখছিলেন। উল্টোদিকে অ্যাঙ্কর করছিলেন তেজনারায়ণ চন্দ্রপল। অশ্বিন আক্রমণে আসতেই সব পরিকল্পনা এলোমেলো হয়ে গেল। অশ্বিনের বিরুদ্ধে সুইপকে অস্ত্র করতে চেয়েছিলেন ব্রেথওয়েট। সমস্যায় পড়লেও সুইপ খেলা ছাড়েননি। আর সেটাই কাল হল তাঁর জন্য। সুইপ খেলেই শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। ৫২ বলে ২৮ রান করেন ব্রেথওয়েট।
অভিষেককারী কার্ক ম্যাকেঞ্জিকে সেট হওয়ার সুযোগই দেননি অশ্বিন। গতিতে পরাস্থ করেন। লেগ বিফোর হন ম্যাকেঞ্জি। রিভিউ নিয়ে লাভ হয়নি। তেজনারায়ণ চন্দ্রপল ৯৮ বলে ২৪ রানে ক্রিজে রয়েছেন। সহ অধিনায়ক ব্ল্যাকউড ৩৯ বলে ২০ রান করেছেন। চতুর্থ দিনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাই আরও ২৮৯ রান। কাল সারা দিনে ৮ উইকেট নেওয়া ভারতীয় বোলারদের কাছে খুবই সহজ কাজ মনে হতে পারে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে কয়েকটি বড় লক্ষ্য তাড়া করে জেতার নজিরও রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সেটা কিন্তু তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়েই হয়েছিল।
খুব আগের কথা নয়, দু-বছর আগে বাংলাদেশের মাটিতে ৩৯৫ রান তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অভিষেক টেস্টেই ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন কাইল মেয়ার্স। বাংলাদেশ আর ভারত এক নয়, এটা যেমন ঠিক, তেমনই অশ্বিন-জাডেজা ছাড়া ভারতের বোলিং আক্রমণও কিন্তু বিশাল অভিজ্ঞ নয়। শেষ দিন রুদ্ধশ্বাস একটা সমাপ্তি দেখা যেতে পারে।