বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাকফুটে ছিল ভারত। সেখান থেকে টিমকে উদ্ধার করেছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন-রবীন্দ্র জাডেজা জুটি। ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি বল হাতেও নজর কেড়েছেন। এই সিরিজে কি পারফরম্যান্সে অবনতি হয়েছে অশ্বিন-জাডেজার? পুনে টেস্টের কথাই ধরা যাক। প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট নিয়েছিলেন অশ্বিন। রবীন্দ্র জাডেজার ঝুলি ছিল শূন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিন ২টি এবং জাডেজা ৩ উইকেট নেন। তবে দুই ইনিংসে ব্যাট হাতে বড় স্কোর নেই। টপ ও মিডল অর্ডারেই যেখানে ব্যর্থতা, জাডেজা-অশ্বিনের থেকে অতিরিক্ত প্রত্যাশা! রোহিতও তেমনই মনে করছেন। তাঁদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই গলার স্বর বাড়ল রোহিতের।
সাংবাদিক সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘অশ্বিন-জাডেজার উপর অতিরিক্ত প্রত্যাশা থাকে। প্রতি ম্যাচেই মনে করা হয়, ওরা উইকেট নেবে, রান করবে। ওদের মান অনুযায়ী প্রত্যাশাটা ভুল নয়। কিন্তু দু-জনেই প্রচুর ম্যাচ খেলেছে, সাফল্যে অবদান রেখেছে, ১৮ সিরিজ জয়ে অবদান রেখেছে, তাই ওদের একটা ম্যাচ দিয়ে বিচার করা ঠিক হবে না। ওদেরও খারাপ দিন যেতে পারে। ওদের একটা খারাপ ম্যাচ গেল মানেই আমি সুযোগ খুঁজব ভুল ধরার, এটা তো হতে পারে না। বাকিদেরও তো দায়িত্ব নিতে হবে। কেউ ব্যর্থ হলে বাকিদের দায়িত্ব নিতে হবে।’
পাশাপাশি এই ম্যাচে একাদশে আসা, দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর পর প্রত্যাবর্তন করা সুন্দরের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত রোহিত। বলছেন, ‘ওয়াশি দুর্দান্ত খেলেছে, আমি গর্বিত। স্যান্টনার উইকেট সোজা বোলিংয়ের চেষ্টা করেছে, সেটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, আমরা হয়তো তেমন কিছু করতে পারতাম। সকলের সঙ্গে বসব আলোচনা করব, তবে ৫০০-৩০০ (অশ্বিন-জাডেজা) উইকেট নেওয়া দুই প্লেয়ারকে নিয়ে কাঁটাছেড়া করতে যাব না। এটা অন্যায় হবে।’
পুনেতে স্পিনাররা সাহায্য পাচ্ছিলেন। টিম ইন্ডিয়ার কি চার স্পিনার খেলানো উচিত ছিল? রোহিতের মতে, ‘ব্যালান্স রাখতে চেয়েছিলাম। অনেক ক্ষেত্রেই রিভার্স সুইং, বল নীচু হলে টার্নিং পিচেও সিমাররা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ম্যাচে সিমারদের প্রয়োজন পড়েনি, তাই সে ভাবে ব্যবহার করিনি।’