Sourav Ganguly: জীবনের সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি কীসে? সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন…

Aug 11, 2024 | 1:56 AM

Indian Cricket-Sourav Ganguly: শতাব্দীর শুরুর দিকের কথা। সৌরভ তখন ক্যাপ্টেন। মুম্বইতে ভারত-ইংল্যান্ড ওডিআই ম্যাচে ভারত হেরে যায়। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ওয়াংখেড়েতে জার্সি খুলে সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন। সাইড লাইনে বসে থাকা সৌরভ হঠাৎই উঠে ড্রেসিংরুমে চলে যান। 

Follow Us

জীবনে অনেক মুহূর্তই স্মরণীয় হয়ে থাকে। প্রত্যেকের জীবনেই। আলাদা করে কোনও মুহূর্ত বেছে নেওয়া কঠিন। সেটা হতে পারে, ভালো বাসার সম্পর্ক, প্রথম বার সন্তানের মুখ দেখা, তাঁকে বেড় উঠতে দেখা। এমন অনেক অনেক মুহূর্ত। গত মাসেই ছিল ভারতীয় ক্রিকেটর কিংবদন্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন। ৫২ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। মহারাজ অবশ্য কলকাতায় ছিলেন না। লন্ডনে স্ত্রী-কন্যা এবং কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। ভাইরাল হয়েছিল নানা মুহূর্ত। জন্মদিন শুরুর রাতে লন্ডনের রাস্তায় ডান্স করেছেন সৌরভ। সঙ্গে ছিলেন কন্যা সানাও। বাবা-মেয়ের সেই মধুর সম্পর্ক সকলেরই মন ভালো করা মুহূর্ত। শুধু তাই নয়, কাছের বন্ধুদের সঙ্গে হোটেলের রুমেও ডান্স করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের ডাকাবুকো ক্যাপ্টেনের এমন হালকা মেজাজ, সকলের মন জয় করেছিল। এটাই কি সৌরভের কেরিয়ারে সবচেয়ে তৃপ্তির মুহূর্ত?

ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্রিকেট ছেড়েছেন, ক্রিকেট তাঁকে ছাড়েনি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট তিনি। হয়তো আগামীতে কোনও আইপিএল টিমের কোচ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। হয়তো দিল্লি ক্যাপিটালসের! আইপিএলে যুক্ত হওয়ার আগেও ক্রিকেটের সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত ছিলেন মহারাজ। ক্রিকেটে ধারাভাষ্য দিয়েছেন। ক্রিকেট প্রশাসনেও দীর্ঘ সময় শীর্ষ পদ সামলেছেন।

বাংলা ক্রিকেট সংস্থার সচিব এবং পরে সভাপতি হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার মেন্স ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও। আর খেলোয়াড় জীবনে তাঁর নানা সাফল্য, যা লিখে শেষ করা যাবে না। তাঁর মতো সাহসী অধিনায়ক ভারতীয় ক্রিকেটে কমই এসেছে। ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় বিষয় ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রভাব। ভারতীয় ক্রিকেট যখন গড়াপেটার লজ্জার অন্ধকারে সে সময় নেতৃত্ব নিয়েছিলেন সৌরভ। প্রতিপক্ষকে পারফরম্যান্সে যেমন জবাব দিয়েছেন তেমনই স্লেজিংয়েও।

শতাব্দীর শুরুর দিকের কথা। সৌরভ তখন ক্যাপ্টেন। মুম্বইতে ভারত-ইংল্যান্ড ওডিআই ম্যাচে ভারত হেরে যায়। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ওয়াংখেড়েতে জার্সি খুলে সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন। সাইড লাইনে বসে থাকা সৌরভ হঠাৎই উঠে ড্রেসিংরুমে চলে যান। তবে তাঁর জবারের লিস্টে যোগ হয়ে গিয়েছিল ফ্লিনটফের সেই সেলিব্রেশন। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে, তাদের হারিয়েই ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জিতেছিল ভারত। তাও আবার সে সময়কার ‘অসম্ভব’ স্কোর তাড়া করে। জয় নিশ্চিত হতেই লর্ডসের ব্যালকনিতে জার্সি খুলে উড়িয়েছিলেন দাদা। ভারতীয় ক্রিকেটের আইকনিক ছবি।

ব্যাটার সৌরভের কথায় আসা যাক। তিনি কত রান করেছেন, কটা সেঞ্চুরি করেছেন ইত্যাদি… এক পাশে। কিন্তু সৌরভের অফড্রাইভের মাহাত্মই ছিল আলাদা। অফসাইডে আধডজন ফিল্ডার দাঁড় করিয়েও সেই ড্রাইভ আটকানো যেত না। যার জন্য সৌরভের সঙ্গে তকমা জুড়েছিল, ‘গড অব অফসাইড’। ফিল্ডারদের ভিড়ের মধ্যেও ঠিক গ্যাপ খুঁজে নিয়ে বল বাউন্ডারিতে পাঠাতেন। প্রশ্ন জাগতেই পারে, তা হলে কি…?

একদমই তাই। ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন শোয়ের একটি এপিসোডে সৌরভ বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর সব তৃপ্তি একদিকে, আর কোনও পেসারের বিরুদ্ধে কভার ড্রাইভ মারার যে আনন্দ, সেটা পুরোপুরি আলাদা। যে কোনও ব্যাটারকেই এই প্রশ্ন করতে পারেন। তিনিও হয়তো একই কথা বলবেন। আমার কাছে তো অবশ্যই। দ্রুতগতির ডেলিভারিতে কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি, এর চেয়ে বেশি তৃপ্তি একজন ব্যাটারের কাছে আর কিছুতে হতে পারে না…।’

জীবনে অনেক মুহূর্তই স্মরণীয় হয়ে থাকে। প্রত্যেকের জীবনেই। আলাদা করে কোনও মুহূর্ত বেছে নেওয়া কঠিন। সেটা হতে পারে, ভালো বাসার সম্পর্ক, প্রথম বার সন্তানের মুখ দেখা, তাঁকে বেড় উঠতে দেখা। এমন অনেক অনেক মুহূর্ত। গত মাসেই ছিল ভারতীয় ক্রিকেটর কিংবদন্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন। ৫২ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। মহারাজ অবশ্য কলকাতায় ছিলেন না। লন্ডনে স্ত্রী-কন্যা এবং কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। ভাইরাল হয়েছিল নানা মুহূর্ত। জন্মদিন শুরুর রাতে লন্ডনের রাস্তায় ডান্স করেছেন সৌরভ। সঙ্গে ছিলেন কন্যা সানাও। বাবা-মেয়ের সেই মধুর সম্পর্ক সকলেরই মন ভালো করা মুহূর্ত। শুধু তাই নয়, কাছের বন্ধুদের সঙ্গে হোটেলের রুমেও ডান্স করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের ডাকাবুকো ক্যাপ্টেনের এমন হালকা মেজাজ, সকলের মন জয় করেছিল। এটাই কি সৌরভের কেরিয়ারে সবচেয়ে তৃপ্তির মুহূর্ত?

ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্রিকেট ছেড়েছেন, ক্রিকেট তাঁকে ছাড়েনি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট তিনি। হয়তো আগামীতে কোনও আইপিএল টিমের কোচ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। হয়তো দিল্লি ক্যাপিটালসের! আইপিএলে যুক্ত হওয়ার আগেও ক্রিকেটের সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত ছিলেন মহারাজ। ক্রিকেটে ধারাভাষ্য দিয়েছেন। ক্রিকেট প্রশাসনেও দীর্ঘ সময় শীর্ষ পদ সামলেছেন।

বাংলা ক্রিকেট সংস্থার সচিব এবং পরে সভাপতি হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার মেন্স ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও। আর খেলোয়াড় জীবনে তাঁর নানা সাফল্য, যা লিখে শেষ করা যাবে না। তাঁর মতো সাহসী অধিনায়ক ভারতীয় ক্রিকেটে কমই এসেছে। ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় বিষয় ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রভাব। ভারতীয় ক্রিকেট যখন গড়াপেটার লজ্জার অন্ধকারে সে সময় নেতৃত্ব নিয়েছিলেন সৌরভ। প্রতিপক্ষকে পারফরম্যান্সে যেমন জবাব দিয়েছেন তেমনই স্লেজিংয়েও।

শতাব্দীর শুরুর দিকের কথা। সৌরভ তখন ক্যাপ্টেন। মুম্বইতে ভারত-ইংল্যান্ড ওডিআই ম্যাচে ভারত হেরে যায়। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ওয়াংখেড়েতে জার্সি খুলে সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন। সাইড লাইনে বসে থাকা সৌরভ হঠাৎই উঠে ড্রেসিংরুমে চলে যান। তবে তাঁর জবারের লিস্টে যোগ হয়ে গিয়েছিল ফ্লিনটফের সেই সেলিব্রেশন। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে, তাদের হারিয়েই ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জিতেছিল ভারত। তাও আবার সে সময়কার ‘অসম্ভব’ স্কোর তাড়া করে। জয় নিশ্চিত হতেই লর্ডসের ব্যালকনিতে জার্সি খুলে উড়িয়েছিলেন দাদা। ভারতীয় ক্রিকেটের আইকনিক ছবি।

ব্যাটার সৌরভের কথায় আসা যাক। তিনি কত রান করেছেন, কটা সেঞ্চুরি করেছেন ইত্যাদি… এক পাশে। কিন্তু সৌরভের অফড্রাইভের মাহাত্মই ছিল আলাদা। অফসাইডে আধডজন ফিল্ডার দাঁড় করিয়েও সেই ড্রাইভ আটকানো যেত না। যার জন্য সৌরভের সঙ্গে তকমা জুড়েছিল, ‘গড অব অফসাইড’। ফিল্ডারদের ভিড়ের মধ্যেও ঠিক গ্যাপ খুঁজে নিয়ে বল বাউন্ডারিতে পাঠাতেন। প্রশ্ন জাগতেই পারে, তা হলে কি…?

একদমই তাই। ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন শোয়ের একটি এপিসোডে সৌরভ বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর সব তৃপ্তি একদিকে, আর কোনও পেসারের বিরুদ্ধে কভার ড্রাইভ মারার যে আনন্দ, সেটা পুরোপুরি আলাদা। যে কোনও ব্যাটারকেই এই প্রশ্ন করতে পারেন। তিনিও হয়তো একই কথা বলবেন। আমার কাছে তো অবশ্যই। দ্রুতগতির ডেলিভারিতে কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি, এর চেয়ে বেশি তৃপ্তি একজন ব্যাটারের কাছে আর কিছুতে হতে পারে না…।’

Next Article