জোহানেসবার্গ: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার গত মরসুমে লখনউ সুপার জায়ান্টসে খেলেছেন আবেশ খান। এ বার তাঁকে ট্রেডিংয়ে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। পরিবর্তে রাজস্থান রয়্যালস থেকে দেবদত্ত পাডিকালকে নিয়েছে লখনউ। রাজস্থান রয়্যালসের গোলাপি জার্সি। গ্যালারিতে গোলাপি দেখেই কি জ্বলে উঠলেন আবেশ খান? যেন ভাবছিলেন রয়্যালস সমর্থকরা তাঁকে তাতাচ্ছেন! অন্য দিকে, অনবদ্য বোলিং অর্শদীপ সিংয়ের। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো বোলিং করতে পারেননি। জোহানেসবার্গে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টির পর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। এ দিন যেন সূর্যর সেই বকুনি কাজে দিল! বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর ফের একবার এই ফর্ম্যাটে মুখোমুখি হল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। জন্মদিনে সেঞ্চুরিতে যেন নিজেকেই সেরা উপহার দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ওয়ান ডে-তে সচিন তেন্ডুলকরের সেঞ্চুরির সংখ্যাও ছুঁয়েছিলেন। রান তাড়া করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৮৩ রানে অলআউট করে ভারত। কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাডেজার অনবদ্য বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। জো’বার্গে ভারতের দুই পেসারের দাপট। মাত্র ১১৬ রানেই গুটিয়ে গেল প্রোটিয়া ইনিংস।
টস জিতে ব্যাটিংয়েরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ান ডে ক্রিকেটে চতুর্থ ম্যাচে নেমেছিলেন অর্শদীপ সিং। উইকেট ছিল না। এ দিন নিজের প্রথম ওভারেই রিজা হেনড্রিক্সকে ফিরিয়ে ওডিআই উইকেটের খাতা খুললেন অর্শদীপ সিং। টি-টোয়েন্টির পর যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল, সেখানে দেখা গিয়েছে, অর্শদীপকে বকছেন টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব। সেটা যেন ইতিবাচক হয়ে দেখা দিল। উইকেটের খাতা খোলার ম্যাচে নিলেন পাঁচ উইকেট। তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ১০-০-৩৭-৫।
উল্টোদিক থেকে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন আবেশ খানও। এই দুই পেসারের সৌজন্যে মাত্র ৭৩ রানেই ৮ উইকেট হারায়। সেখান থেকে একশো পেরোতে পারবে দক্ষিণ আফ্রিকা, এমন প্রত্যাশাই ছিল না। আন্দিলে পেকলুকায়ো প্রোটিয়া ইনিংসে সর্বাধিক ৩৩ রান করেন। অর্শদীপের পর প্রত্যাশা ছিল আবেশেরও পাঁচ উইকেটের। যদিও প্রোটিয়াদের শেষ উইকেটটি কুলদীপের ঝুলিতে। আবেশের পাঁচ হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট ১১৬ রানেই।