আর মাত্র দু-সপ্তাহের মতো অপেক্ষা। অক্টোবরে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এ বছর পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ২০০৭ সালের পর ২০২৪। দীর্ঘ ১৭ বছরের খরা কাটিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ফের বিশ্বজয় রোহিতদের। এ বার অপেক্ষা মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই রেজাল্টের। ভারতে মহিলা ক্রিকেট প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে। কিন্তু আক্ষেপ মেটেনি। সিনিয়র টিম আইসিসি টুর্নামেন্টে বেশ কয়েক বার ফাইনালে উঠলেও ট্রফি আসেনি। আইসিসি ট্রফির আক্ষেপ মেটানোই একমাত্র লক্ষ্য। তার জন্য টিমের সদস্যরা বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন, খোলসা করলেন ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর।
ওয়ান ডে হোক বা টি-টোয়েন্টি। বারবার আইসিসি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে আটকে যাওয়ার হতাশা। দক্ষতা কিংবা প্রতিভার দিক থেকে ভারতীয় দলে যে কোনও অভাব নেই, ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্সই তার প্রমাণ। মানসিক বাধা কাটিয়ে ওঠাই চ্যালেঞ্জ। আরব আমির শাহিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে তাই মানসিক শক্তি বাড়ানোর দিকেই জোর টিম ইন্ডিয়ার, এমনটাই বলছেন হ্যারি।
স্টার স্পোর্টসে ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরেই মানসিক শক্তি বাড়ানো নিয়ে কাজ করছি আমরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছোট্ট ফরম্যাট নয়। দিনের শেষে সব মিলিয়ে ৪০ ওভারেই লড়াই করতে হয়। শেষ দিকে ৪-৫ ওভারে মানসিক ভাবে এগিয়ে থাকা দলই জিতে মাঠ ছাড়ে। সেটার দিকেই ফোকাস আমাদের। আমরা যদি শেষ পাঁচ ওভারে নিজেদের মানসিক ভাবে ঠিক রাখতে পারি, ভালো কিছুই সম্ভব।’
ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড-হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানা, শেফালি ভার্মা, দীপ্তি শর্মা, জেমাইমা রডরিগজ, রিচা ঘোষ, যস্তিকা ভাটিয়া, পূজা বস্ত্রকার, অরুন্ধতী রেড্ডি, রেনুকা সিং ঠাকুর, দয়ালান হেমলতা, আশা শোভানা, রাধা যাদব, শ্রেয়াঙ্কা পাটিল, সজনা সজীবন।