বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভাবনীয় জয় ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় দিয়েই শুরু করেছিল ভারত। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজ নিশ্চিত করাই লক্ষ্য ছিল। কিন্তু মন্থর পিচ এবং বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের সামনে ব্যাটিং বিপর্যয়। তারপরও জিতল ভারত। সিরিজও জিতে নিল এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। নজর কাড়লেন কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে নামা মিন্নু মনি। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হরমনপ্রীত কৌর। ভারতের নজর ছিল পাওয়ার হিটিং প্র্যাক্টিস। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শুরুটা অনবদ্য হয়। স্মৃতি মন্ধানা এবং শেফালি ভার্মা জুটিতে ওঠে ৩৩ রান। এই জুটি যে ভাবে ব্যাট করছিল, মনে হয়েছিল পাওয়ার প্লে-তেই ৫০ রান তুলে নেবে ভারত। এরপরই ধাক্কা। ৩৩ স্কোরেই পরপর তিন উইকেট। পঞ্চম ওভারে স্মৃতির উইকেট হারায় ভারত। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে শেফালি এবং গত ম্যাচে ভারতের জয়ের নায়ক হরমনপ্রীতকে ফেরান লেগ স্পিনার সুলতানা খাতুন।
ভারতের মিডল অর্ডারও ভরসা দিতে ব্যর্থ। জেমাইমা, হরলিনরা ডট বলের চাপে ফিরলেন। বাংলাদেশ অনবদ্য ফিল্ডিংও করেছে। বিশেষ করে বলতে হয় যস্তিকা ভাটিয়ার আউটের ক্ষেত্রে। ফাহিমা খাতুনের বোলিংয়ে লং অনে অনেকটা দৌড়ে ডাইভিং ক্যাচ স্বর্ণা আখতারের। শেষ দিকে শোভানা মস্তারিও আরও একটা দর্শনীয় ক্যাচ নেন। শেষ ওভারে মিন্নু মনি এবং পূজা বস্ত্রকার ১১ রান তোলে। বাংলাদেশকে মাত্র ৯৬ রানের লক্ষ্য দেয় ভারতীয় দল। ভারতের ৮ উইকেটের মধ্যে ৭টিই স্পিনারদের দখলে।
কম রানের পুঁজি নিয়ে প্রথম ওভারেই ১১ রান দেন পূজা বস্ত্রকার। স্পিনারদের হাতেই যে ম্যাচের চাবি, বুঝতে সমস্যা হয়নি হরমনপ্রীতের। পূজাকে দিয়ে আর বোলিং করাননি। পার্টটাইম স্পিনার শেফালি, জেমাইমাও বোলিং করেন। ভারতের জয়ে বোলিংয়ে বড় ভূমিকা নেন স্পিনাররাই। দীপ্তি শর্মা ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। শেফালি ভার্মা ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট। কেরিয়ারে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলা মিন্নু মনি ৪ ওভারে ১টি মেডেন সহ ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। বাংলাদেশকে মাত্র ৮৭ রানেই আটকে দেয় ভারত। ৮ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৩৮ রান করেন। আর কেউ দু-অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।