নয়াদিল্লি: করোনা (COVID-19) আবহে স্থগিত হয়ে গেছে এ বারের আইপিএল (IPL)। বিসিসিআই (BCCI) দেশের মাঠে আইপিএল আয়োজন করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। এমনটাই বলছেন অনেকে। জৈব সুরক্ষা বলয়ে অনেক ফাঁক ফোকর ছিল বলেই শেষ মেশ এই পরিণতি হল। কেউ কেউ আবার একথাও বলছেন। এখনকার মত আইপিএল স্থগিত হলেও বাকি ম্যাচগুলি পরে হবে। বিসিসিআইয়ের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্রিকেটারদের সুবিধা অনুযায়ী টি-২০ বিশ্বকাপের আগে বা পরে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি হতে পারে। কিন্তু কোথায় হবে বাকি ম্যাচগুলি? সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেখলে, কিছুদিন পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলেও আবার দেশের মাঠে আইপিএল আয়োজন সম্ভব নয়। ফলে বিকল্প হিসেবে বিদেশের মাঠেই বাকি আইপিএলের আয়োজন করতে পারে বিসিসিআই। বোর্ডের অন্দরে ভেনু হিসেবে বেশ কিছু জায়গার নাম উঠে আসছে।
১. প্রথম বিকল্প: সংযুক্ত আরব আমিরশাহী– গত বার মরুশহরে বেশ সফল ভাবেই আইপিএল আয়োজিত হয়েছিল। তাই এ বারও বাকি আইপিএল সেখানে করা যেতেই পারে। অবশ্যই বোর্ড রাজি থাকলে। টি-২০ বিশ্বকাপও সেখানে আয়োজিত হতে পারে। ১৪ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ড সফর শেষ করে ভারতের ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলার জন্য আমিরশাহীতে যেতে পারে। সেখানে এক সপ্তাহের কোয়ারান্টিন পর্ব কাটিয়ে বিশ্বকাপ শুরু (২২ অক্টোবর) হওয়ার আগে বাকি ৩১টি ম্যাচ শেষ করতে পারে।
তবে আবহাওয়ার জন্য মরুশহরে সেপ্টেম্বরে বাকি আইপিএল আয়োজনে বাধা আসতে পারে। বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষকর্তা বলেছেন, “যদি বিশ্বকাপ স্থানান্তরিত হয়, তা হলে পুরো সূচির পুনরায় ঠিক করা হতে পারে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে আমিরশাহীতে খুব গরম। কেবল মাত্র অক্টোবরের পর সেখানে ঠান্ডা আবহাওয়া হবে।”
২. দ্বিতীয় বিকল্প: যুক্তরাজ্য– আমিরশাহীতে টি-২০ বিশ্বকাপ স্থানান্তরিত হলে, বিসিসিআই যুক্তরাজ্যে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি করতে পারে। সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরের শুরুতে সেখানে ক্রিকেটের জন্য ভালো আবহাওয়া থাকবে। বিসিসিআই ও ব্রডকাস্টাররা রাজি থাকলে বাকি আইপিএল যুক্তরাজ্যেও আয়োজন করা যেতে পারে।
৩. তৃতীয় বিকল্প: অস্ট্রেলিয়া– অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশী ক্রিকেটারদের প্রবেশে নিষেধজ্ঞা রয়েছে। সেখানকার সরকার যদি চার মাসের মধ্যে নীতিমালা সংশোধন করে আহলে সেখানেও আইপিএল আয়োজন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: আইএসএলে এবার ডেভিড ভিয়া?