কলকাতা : শুরুটা প্রত্য়াশা মতো হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। অ্যাওয়ে ম্য়াচে মাত্র ৭ রানে হার পঞ্জাব কিংসের কাছে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ম্য়াচের ফয়সালা হয়। কেকেআরের একটা উইকেট কম পড়লেও হয়তো রেজাল্ট পক্ষে যেতে পারত। আর যাই হোক, একাদশ বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও যে কেকেআরের গলদ ছিল এ প্রশ্ন তোলাই যায়। একাদশে রাখা হয়েছিল অনুকূল রায়কে। কিন্তু এক ওভারও বোলিং করানো হয়নি তাঁকে দিয়ে। বাঁ হাতি স্পিনার অনুকূল। বোলিংটাই প্রধান। ব্য়াটিংয়ের হাত ভালো। তাঁকে এক ওভার বোলিং করানো না হলেও তিন নম্বরে ব্য়াটিংয়ে নামানো হয়। কী পরিকল্পনায় তাঁকে নামানো হয়, এও পরিষ্কার নয়। ঘরের মাঠে আরসিবির বিরুদ্ধে পরিকল্পনায় বদল হতে পারে। অভিষেক হতে পারে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
মরসুমের শুরু থেকেই নানা সমস্যায় জর্জরিত কলকাতা নাইট রাইডার্স। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির শেষ ম্যাচে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজেও ছিটকে যান। কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট শুরু থেকে বলে আসছিল, শ্রেয়সকে পরের দিকে পাওয়া যাবে। সেই সম্ভাবনা অবশ্য ছিল না। কলকাতা টিম ম্যানেজমেন্ট যতই আশাবাদী হোক, সম্ভাবনা ক্ষীণ ছিল। পুরোপুরি ভাবেই এ বারের আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। শুধু তাই নয়, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও পাওয়া যাবে না শ্রেয়সকে।
কলকাতা শিবিরের সমস্যার এখানেই শেষ নয়। ব্যক্তিগত কারণে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শ্রেয়সের অনুপস্থিতি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা শিবিরে। তিনি না থাকায়, নীতীশ রানাকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লিকে সাদা বলে নেতৃত্ব দিয়েছেন নীতীশ। তবে আইপিএলের মঞ্চ যে পুরোপুরি আলাদা প্রথম ম্যাচেই টের পেয়েছেন নীতীশ রানা। এখন ঘুরে দাঁড়ানোই লক্ষ্য। তার জন্য দলে কিছু পরিবর্তনও প্রয়োজন। দ্বিতীয় ম্যাচেই তা লক্ষ্য করা যেতে পারে। ডেভিড উইজেকে খেলানোটাই হয়তো প্রথম পরিবর্তন হতে পারে।