দীপঙ্কর ঘোষাল : চাহালের রেকর্ড, ভেঙ্কটেশ আইয়ারের অর্ধশতরান। টস জিতে কেকেআরকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক। দু-দলই স্পিন আধিক্য বোলিং আক্রমণ সাজিয়েছে। কেকেআর ইনিংসের শুরুটা মন্দ হয়নি। তবে দুটি দুর্দান্ত ক্যাচ ইনিংসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ট্রেন্ট বোল্টের বোলিংয়ে ফ্লিক করেছিলেন জেসন রয়। শিমরন হেটমায়ার ডিপ স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারিতে রানিং অবস্থায় লাফিয়ে দুর্দান্তে ক্যাচে জেসন রয়কে ফেরান। বোল্ট দ্রুতই দ্বিতীয় ধাক্কা দেন। আর এক ওপেনার রহমানুল্লা গুরবাজের উইকেটও তাঁর ঝুলিতে। মিড অফে কিছুটা দৌড়ে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে সন্দীপ শর্মার ক্যাচে ফেরেন গুরবাজ। বোল্টের এই দুটি উইকেটের ক্ষেত্রেই কৃতিত্ব প্রাপ্য ফিল্ডারের। মিডল ওভারে যুজবেন্দ্র চাহালের দাপট। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১৪৯-৮ স্কোর কলকাতার। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
শুধু দুটি অনবদ্য ক্যাচই নয়, রাজস্থান রয়্যালসের সার্বিক ফিল্ডিংও দুর্দান্ত হল। বিশেষ করে বলতে হয় শিমরন হেটমায়ারের কথা। এক দিক থেকে পর পর উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ৩৯ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ৪২ বলে ৫৭ রানে ফেরেন ভেঙ্কি। তাঁর ইনিংসের শুরুটা খুবই মন্থর হয়। স্ট্রাইকরেট খুবই কম। পরে গিয়ার বদলান। ১২.৫ ওভারে ১০০ রানে পৌঁছায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। ক্রিজে রিঙ্কু থাকায় বড় স্কোরের আশায় বুক বাঁধছিল কেকেআর সমর্থকরা। ১৫ ওভারে ১১৬-৪ স্কোরে পৌঁছোয় কেকেআর। রাজস্থানের জন্য বড় লক্ষ্য সেট করতে প্রয়োজন ছিল বিধ্বংসী ইনিংসের। সেটারই অভাব দেখা গেল। ১৮ ওভার পর্যন্ত স্কোর দাঁড়ায় ১৩৯-৬। শুরুর দিকে অশ্বিনের পাশাপাশি জো রুটকে ব্যবহার করেন সঞ্জু। একাদশ ওভার থেকে যুজবেন্দ্র চাহালকে বোলিং দেন। নীতীশ রানাকে ফিরিয়ে উইকেটের খাতা খোলেন এবং আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড গড়েন চাহাল। তাঁর বোলিংয়ের কাছেই কার্যত আত্মসমর্পন।
যুজবেন্দ্র চাহাল চার ওভারের স্পেলে মাত্র ২৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। অশ্বিন উইকেট না নিলেও রান আটকাতে সমর্থ হলেন। কেকেআর শিবিরের ভেঙ্কটেশ আইয়ার ছাড়া কেউই বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষ ভরসা ছিলেন রিঙ্কু সিং। কার্যত সঙ্গীর অভাবে ভুগলেন তিনি। ১৯তম ওভারে রিঙ্কু ফিরলেন ১৮ বলে ১৬ রানে। কেকেআর ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান নীতীশ রানার ২২।