কলকাতা: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ চলাকালীন অনেকেই ফ্যান্টাসি ক্রিকেট গেম খেলেন। সাধারণ মানুষরা সেখানে অল্প টাকা বিনিয়োগ করেন। এবং তার বিনিময়ে কোটিপতি হওয়ার সুযোগও থাকে। এ তো গেল ফ্যান্টাসি ক্রিকেট গেমের কথা। কিন্তু চলতি আইপিএলে (IPL) এ বার পড়ল গড়াপেটার ছায়া। বেটিং, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের (Match Fixing) কলঙ্ক আগেও আইপিএলের গায়ে লেগেছে। এ বার ১৭তম আইপিএলেও বেটিংয়ের ছায়া। সম্প্রতি জয়পুর এবং মুম্বই থেকে চার সন্দেহভাজন বুকিকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
২৮ মার্চ রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ চলাকালীন জয়পুরের সওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামের ভিআইপি স্টেডিয়াম থেকে ২ জন বুকিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর অপর ২ জন বুকিকে গ্রেফতার করা মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। ১ এপ্রিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচে ছিলেন তাঁরা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার সদস্যরা এই দুই ভেনু থেকে চার সন্দেহভাজন বুকিকে সনাক্ত করেছেন। এবং এই চারজন বুকিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেটিং করে অর্থ উপার্জনের জন্য বুকিরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। অনেক সময় তাঁরা স্টেডিয়ামে শশরীরে পৌঁছে যান। এক্ষেত্রে সময়ের অপচয় কম হয়। কারণ সরাসরি সম্প্রচার দেখতে হলে একটু বেশি সময় লাগে। এই বিষয়টি পিচ-স্লাইডিং নামে পরিচিত। ভারতের মাটিতে বেটিং অবৈধ। কিন্তু ক্রিকেট বেটিংয়ের বিরাট রমরমা রয়েছে সারা বিশ্বে।
উল্লেখ্য, চলতি আইপিএলে এই ৪ বুকির স্টেডিয়ামে যাওয়ার ঘটনাটি বিসিসিআইয়ের চিন্তা বাড়িয়েছে। কারণ মুম্বইয়ে ভিআইপি বক্সের পাস শুধুমাত্র আমন্ত্রিতদেরই জন্যই থাকে। তা হলে সেক্ষেত্রে বুকিরা সেই পাস কী ভাবে পেলেন। এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের আইপিএলে ফিরোজশাহ কোটলা স্টেডিয়ামে ক্লিনারের কার্ড নিয়ে একজন বুকি মাঠে হাজির হয়েছিলেন। সেই বুকি ধরাও পড়েছিলেন এবং তাঁকে সেই সময় গ্রেফতারও করা হয়েছিল।