পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আইপিএল অভিযান শুরু হয়েছে হার দিয়ে। আজ আরও একটা অ্যাওয়ে ম্যাচ। প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দু-দলই মরসুমের প্রথম জয়ের খোঁজে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিপক্ষ যতটা না বেশি সানরাইজার্স, তার চেয়েও বেশি নিজেরাই। প্রথম ম্যাচেই এমন উদাহরণ তৈরি করেছে। অন্য দিকে, ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্ত অবধি লড়াই করেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে হায়দরাবাদকে। আজ বেশ কিছু বিষয়ে নজর থাকবে।
প্রথম যে বিষয়ে নজর, হার্দিক পান্ডিয়ার ক্যাপ্টেন্সি। গত দুটি আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সে ছিলেন হার্দিক। গুজরাট টাইটান্সের আইপিএল অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন হার্দিক। তাঁর নেতৃত্বে গত মরসুমে রানার্স হয়ে টাইটান্স। এ বার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ট্রেডিংয়ে ফিরেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিককে নেতা করা হয়েছে। এ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। তাঁর নিজের শহর আমেদাবাদেও বিদ্রুপ করা হয়েছে হার্দিককে। টস থেকে শুরু বিভিন্ন সময়ে রোহিত ধ্বনি উঠেছে গ্যালারিতে।
হার্দিকের কাছে সুযোগ ছিল, সব সমালোচনার জবাব দেওয়ার। নিজের ভুলেই তা পারেননি। গুজরাট টাইটান্স তাঁর চেনা টিম। তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকেই রাশ ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হাতেই। তবে ক্যাপ্টেন হার্দিকের সিদ্ধান্ত অস্বস্তিতে ফেলার মতোই। টিমে জসপ্রীত বুমরার মতো বোলার থাকতে হার্দিক নিজে বোলিং ওপেন করেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ব্যাটিং কোচ কায়রন পোলার্ড পাশে দাঁড়িয়েছেন হার্দিকের। তবে তাঁর যুক্তিতে হার্দিককে নিয়ে ওঠা প্রশ্ন কমছে না।
রান তাড়ায়ও দুর্দান্ত জায়গায় ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এর প্রাথমিক কৃতিত্ব প্রাপ্য জসপ্রীত বুমরার। নতুন বলে উইকেট নিয়েছেন। স্লগ ওভারে, বিশেষ করে ১৭তম ওভারে জোড়া উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বুমরা। তাঁর অনবদ্য বোলিংয়েই ম্যাচে অ্যাডভান্টেজ ছিল মুম্বই। সাত উইকেট হাতে থাকা সত্ত্বেও ৫ ওভারে ৪২ রান তুলতে না পারা, ভুল ক্যাপ্টেন্সির অন্যতম উদাহরণ। দলের প্রয়োজনের সময় ক্যাপ্টেনই যদি ক্রিজে না নামেন, এতে আর কাকেই বা দায়ী করা যায়!
গুজরাট-মুম্বই ম্যাচে নজর থাকবে, বুমরা বনাম হেনরিখ ক্লাসেনের দ্বৈরথে। ইডেনে ক্লাস ইনিংস খেলেছিলেন ক্লাসেন। বুমরার বিরুদ্ধে কেমন ব্যাটিং করেন, সে দিকেই বাড়তি নজর থাকবে।