আগামী আইপিএলের আগে মেগা অকশন হবে। তার আগে রিটেনশন তালিকা নিয়ে ভাবনায় ব্যস্ত আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। এবার অকশনের জন্য মোট পার্সের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। রিটেনশন এবং RTM কার্ডের মাধ্যমে মোট ৬জন ক্রিকেটারকে রাখা যাবে। স্বাভাবিক ভাবেই অঙ্ক কষে এগতে হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্লেয়ারকে রিটেন করতে খরচ হবে যথাক্রমে ১৮, ১৪ ও ১১ কোটি। চতুর্থ ও পঞ্চম ক্রিকেটারের জন্য ১৮ ও ১৪ কোটি। আনক্যাপড প্লেয়ারের জন্য ৪ কোটি। অভিষেক শর্মা সহ সানরাইজার্সের ভাবনায় যাঁরা…।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আইপিএলের গত সংস্করণে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। বিশেষ করে বলতে হয় ব্যাটিংয়ের কথা। একাধিক রেকর্ড গড়েছে তারা। শুরুতে তরুণ বাঁ হাতি ব্যাটার অভিষেক শর্মা এবং ট্রাভিস হেড। মিডল অর্ডারে হেনরিখ ক্লাসেন। তেমনই ক্যাপ্টেন্সিতে নজর কেড়েছেন প্যাট কামিন্স। তরুণ অলরাউন্ডার নীতীশ রেড্ডির কথাও ভুললে চলবে না। গত মরসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করে রানার্স হয় সানরাইজার্স। এ বারও শক্তিশালী দল গড়াতেই নজর।
প্রোটিয়া পাওয়ার হিটার হেনরিখ ক্লাসেন প্রথম রিটেনশন হতে পারে সানরাইজার্সের। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর খবর অনুযায়ী, হেনরিখ ক্লাসেনকে স্যালারি ইনক্রিমেন্ট সহ ২৩ কোটিতে প্রথম প্লেয়ার হিসেবে রিটেন করতে পারে সানরাইজার্স। দ্বিতীয় প্লেয়ার হিসেবে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং তৃতীয় হিসেবে অভিষেক শর্মাকে ১৪ কোটিতে রাখার ভাবনা সানরাইজার্সের।
ট্রাভিস হেড ও নীতীশ কুমার রেড্ডি ভাবনায় থাকলেও অঙ্ক কষে এগতে চাইছে সানরাইজার্স। ট্রাভিস হেডের ক্ষেত্রে অনেকটাই খরচ করতে হবে। নীতীশ কুমার রেড্ডি প্রাথমিক ভাবনায় থাকলেও এখন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। এই তরুণ অলরাউন্ডারকে ৪ কোটিতে রিটেন করতে পারত সানরাইজার্স। কিন্তু সদ্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে নীতীশের। ফলে তিনি আর আনক্যাপড প্লেয়ার নেই। নীতীশকে রিটেন করতে অন্তত ১১ কোটি খরচ করতে হবে। রিটেনশন তালিকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩১ অক্টোবর। তার আগে অঙ্ক কষতে ব্যস্ত সানরাইজার্সও।