ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের রিটেনশন তালিকা প্রকাশ হয়েছে। রিটেনশন এবং আরটিএম মিলিয়ে ৬ জনকে রাখা যেত। মাত্র দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই ছ’জন করে প্লেয়ার রিটেন করেছে। তারা হল-কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস। বাকি ৮টি ফ্র্যাঞ্চাইজি আরও বেশি হিসেব কষে এগনোর চেষ্টা করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পঞ্জাব কিংস। তারা মাত্র দু-জন আনক্যাপড প্লেয়ারকে রিটেন করেছে। তেমনই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ২১ কোটি টাকায় রিটেন করেছে বিরাট কোহলিকে। সঙ্গে রজত পাতিদার ও আনক্যাপড যশ দয়াল। আরসিবি কি চেন্নাই সুপার কিংসের পথেই? নাকি পিছনে হাঁটা!
বিরাট কোহলিকে এত টাকায় রিটেন করার পরই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, ক্যাপ্টেন হিসেবে কামব্যাক করতে পারেন। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিরাট কোহলি নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, এই ফরম্যাটে দেশের এবং আরসিবির নেতৃত্ব ছাড়ছেন। ব্যাটিংয়ে মনসংযোগ করতে এই সিদ্ধান্ত বলেও জানিয়েছিলেন। আইপিএলের গত সংস্করণে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন বিরাট। ফাফ ডুপ্লেসি একান্তই খেলতে না পারলে ক্যাপ্টেন্সিও করেছেন। তাঁকে আবারও ক্যাপ্টেন করা হবে কিনা এই নিয়ে জল্পনা।
দুটো সম্ভাবনা মনে করা হচ্ছে, এক হতে পারে চেন্নাই সুপার কিংসের পথে হাঁটা। মহেন্দ্র সিং ধোনি নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিলেন রবীন্দ্র জাডেজাকে। যদিও সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। জাডেজা চোটও পেয়েছিলেন। ফলে ধোনি ফের নেতৃত্ব তুলে নেন। এর মাঝে তৈরি করছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে। গত সংস্করণে উদ্বোধনী ম্যাচের আগের দিন ঋতুরাজকে সিএসকে-র ক্যাপ্টেন করা হয়।
আরসিবিও এই পথে হাঁটতে পারে। বিরাট কোহলিকে ক্যাপ্টেন করা এবং কোনও ভারতীয় প্লেয়ারকে তাঁর সান্নিধ্যে রেখে তৈরি করা। রজত পাতিদারকেও বিকল্প হিসেবে মনে করা হচ্ছে। হয়তো এ বার রজতকেই খাতায়-কলমে ক্যাপ্টেন করা হল। তবে রাশ থাকল বিরাটের হাতেই। তাঁকে ক্যাপ্টেন হিসেবে তৈরি হতে সাহায্য করলেন বিরাট কোহলি! দুটো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আইপিএলের শুরু থেকে শক্তিশালী দল গড়লেও আরসিবির ট্রফি জিততে না পারার প্রধান কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স। এ বার মেগা অকশনে হয়তো সেদিকেই নজর দেওয়া হতে পারে। আর নেতৃত্বেও রজতকে। আর নয়তো বিরাট ক্যাপ্টেন, রজত ভবিষ্যৎ। প্রথম সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে, পিছনে হাঁটাও বলা যেতে পারে!