কলকাতা: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে অনেক ক্রিকেটারই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে থাকেন। সঙ্গে দেখা হয় ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্সেও। তেমনই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করে নজরে পড়া যায় আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিরও। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজির স্কাউট টিম থাকে। তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে প্লেয়ারদের ওপর নজর রাখেন। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনাও সাজান। টিমের হেড কোচ-মেন্টররা এই তথ্যের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে ভারতীয় প্লেয়ারদের নেওয়ার ক্ষেত্রে। আর্সালান খান তেমনই একজন। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports– এর এই প্রতিবেদনে।
ক্রিকেটের ফর্ম্যাট যাই হোক, খেলাটা তো একই! টি-টোয়েন্টি শুধু ব্যাটারদের খেলা নয়। আবার ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও শুধুমাত্র পাওয়ার হিটারদেরই দাম রয়েছে, তা নয়। ইনিংস গড়ার ক্ষমতা থাকাও প্রয়োজন। দ্রুত উইকেট পড়লে এমন প্লেয়ারই প্রয়োজন পড়ে। যিনি একদিক থেকে উইকেট বাঁচিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখতে পারবেন। আর তিনি যদি কোনও তরুণ ক্রিকেটার হন? সঙ্গে বোলিংটাও করতে পারলে, অ্যাডভান্টেজ। সব ক্রাইটেরিয়াতেই মিলে যাচ্ছে আর্সালান খানের নাম।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বভারতীয় স্তরে তেমন অভিজ্ঞতা নেই। ঘরোয়া ওয়ান ডে ফর্ম্যাটের প্রতিযোগিতা বিজয় হাজারে ট্রফিতে ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন আর্সালান খান। শুধু ভালো খেলেছে বললে ভুল হবে। বরং খুবই ভালো খেলেছেন। বিজয় হাজারে ট্রফির নকআউটে উঠতে ব্যর্থ চন্ডীগড়। আর্সালান ব্যাট হাতে মরিয়া চেষ্টা করেছেন। বিজয় হাজারে ট্রফিতে এ বারের সর্বাধিক রান তাঁরই। অথচ বাকিদের চেয়ে ম্যাচও কম খেলেছেন। ৭ ম্যাচে প্রায় ৮৫ গড়ে করেছেন ৫০৮ রান।
লিস্ট-এ কেরিয়ারে ২০ ম্যাচে ১২০৩ রান করেছেন আর্সালান। সর্বাধিক অপরাজিত ১৪১। গড় প্রায় ৬৭। স্ট্রাইকরেট একশোর কাছাকাছি। ৪টি সেঞ্চুরি এবং ৮টি হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে। এমন লা-জবাব পারফরম্যান্স থাকা তরুণ অলরাউন্ডারের বেস প্রাইস মাত্র ২০ লক্ষ টাকা। বাঁ হাতি ব্যাটার। বৈচিত্র বাড়াতে দশ ফ্র্যাঞ্চাইজির টার্গেট লিস্টেই থাকবেন আর্সালান।