দীপঙ্কর ঘোষাল : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আরও একটি রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ। এ বার অবশ্য হাই-স্কোরিং ম্য়াচে হাসি মুখেই মাঠ ছাড়ল মুম্বই। ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের কাছে হেরেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। মোহালিতে জয়ের বাড়তি তাগিদ ছিল। অধিনায়ক রোহিত শর্মা রান পেলেন না। ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে জয়। রোহিত এবং ক্য়ামেরন গ্রিনের উইকেট হারিয়ে সাময়িক চাপ তৈরি হয়েছিল মুম্বই শিবিরে। তবে ঈশান কিষাণ এবং ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্য়াটিংয়ে নামা নতুন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি পরিস্থিতি সহজ করেন মুম্বইয়ের জন্য। তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ১১৬ রান যোগ করে ঈশান কিষাণ-সূর্যকুমার যাদব জুটি। আস্কিং রেট বাড়তে দেননি টিম ডেভিড, তিলক ভার্মাও। ১৯ তম ওভারে বিশাল ছয়ে ম্য়াচ ফিনিশ করেন তিলক ভার্মা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে পঞ্জাব কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla Sports-এ।
ওয়াংখেড়েতে জিতেছিল পঞ্জাব কিংস। ফলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে মোহালিতে ছিল বদলার ম্য়াচ। টস জিতে খোশ মেজাজে দেখা গেল মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। পঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানকে জিজ্ঞেস করেন, কী নেব! সঞ্চালককে রোহিত জানান, ধাওয়ানকে জিজ্ঞেস করলাম, ফিল্ডিংই নিচ্ছি। জাতীয় দলের দীর্ঘ সময়ের সতীর্থের সঙ্গে মজার মুডেই ছিলেন রোহিত। তবে তাঁর দলের ফিল্ডিং এবং পঞ্জাব কিংসের চতুর্থ উইকেট জুটি। লিয়াম লিভিংস্টোন এবং জীতেশ শর্মা বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বেশ কিছু ফিল্ডিং মিস করে। তবে দ্বাদশ ওভারে ৯৫-৩ স্কোর হওয়ায় ২০০ পেরোনো কঠিন ছিল। চতু্র্থ উইকেটে লিয়াম লিভিংস্টোন এবং জীতেশ শর্মা অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৫৩ বলে ১১৯ রান যোগ করেন। লিভিংস্টোন অপরাজিত ৪২ বলে ৮২ রানে। জীতেশ ২৭ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করে পঞ্জাব কিংস।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১৫। মুম্বই ব্য়াটিংয়ের গভীরতা এবং গত ম্য়াচের পারফরম্যান্স ধরলে এই লক্ষ্য অসম্ভব ছিল না। চাপ বাড়ে ইনিংসের তৃতীয় বলেই। ৩ বলে ০ রানে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাওয়ার প্লে-র শেষ বলে ক্য়ামেরন গ্রিনকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় ধাক্কা দেয় পঞ্জাব। এরপর অবশ্য মুম্বইয়ের দাপট। ঈশান কিষাণ এবং সূর্যকুমার যাদবের ব্য়াটিং তান্ডব। ৫২ বলে শতরানের জুটি ঈশান কিষাণ এবং সূর্যকুমার যাদবের। জুটি ভাঙে ১৬তম ওভারের প্রথম বলে। নাথান এলিসের বলে দারুণ ক্যাচ নেন অর্শদীপ। কিছুক্ষণের মধ্যে ফেরেন ঈশান কিষাণও। তাতেও জিততে সমস্যা হয়নি মুম্বইয়ের। মোহালিতে জিতে বদলা সম্পন্ন।