লন্ডন : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে জশ হ্যাজলউডের এ মরসুম একেবারেই ভালো কাটেনি। চোটের কারণে প্রথম সাত ম্যাচে তাঁকে পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। তারপর খেললেও চোট যে পুরোপুরি সাড়েনি টের পাওয়া গিয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি ম্যাচে খেলেছেন। পারফরম্যান্সও আহামরি নয়। কয়েক ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরেছিলেন আরসিবিতে বিরাটের সতীর্থ জশ হ্যাজলউড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং অ্যাসেজ সিরিজের জন্য নিজেকে ফিট করে তুলতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিছুদিন আগেও আইপিএলে ছিলেন বিরাট কোহলির সতীর্থ। এ বার তাঁর বিরুদ্ধেই বোলিং করবেন জশ হ্যাজলউড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে বিরাটকে নিয়ে নানা বিষয়ই ভাগ করে নিয়েছেন অজি পেসার। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports -এর এই প্রতিবেদনে।
কিং কোহলির সাফল্যের রহস্য কী? হ্যাজলউড মনে করেন, বিরাটের ইউএসপিই হল শৃঙ্খলা। হ্যাজলউডের কথায়, ‘আমার মতে, ওর পরিশ্রমই সাফল্যের চাবি। প্রথমত, ওর ফিটনেস। তারপর স্কিল। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ের কথাও বলতে হয়। প্র্যাক্টিসে ও সবার আগে নামে এবং সবার শেষে মাঠ ছাড়ে। ট্রেনিংয়ের ওর তাগিদ দেখার মতো। সকলকেই চাপে ফেলে দেয়। ওকে দেখে বা ওর সঙ্গে অনুশীলন করে বাকিরাও অনেক কিছু শেখার সুযোগ পায়।’
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে এক মাত্র বিরাটই নন, হ্যাজলউডের আর এক আরিসিবি সতীর্থও রয়েছেন। পেসার মহম্মদ সিরাজ। এ বারের আইপিএলে অন্যতম সেরা বোলার সিরাজ। ১৪ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন। হ্যাজলউড আরও যোগ করেন, ‘এ বছর আরসিবিতে অনেকটা দেরিতে যোগ দিয়েছি। তার আগে থেকেই সিরাজ আগুনে ফর্মে। উইকেটের তালিকায় ওপরের দিকে। ইকোনমিও দুর্দান্ত। চিন্নাস্বামীর মতো ছোট মাঠে ইকোনমি ঠিক রাখা কার্যত অসম্ভব। তবে ওর নিয়ন্ত্রণ অনবদ্য।’
জসপ্রীত বুমরা চোটের কারণে নেই। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারতীয় পেস বোলিংয়ের মূল দুই ভরসা মহম্মদ সামি এবং মহম্মদ সিরাজ। আইপিএলে দু-জনের পারফরম্যান্সই অনবদ্য। এ বার লাল বলেও সেই ছন্দ ধরে রাখার অপেক্ষা।