ব্যাট হাতে মাঠ ছাড়ার সময়ই ইঙ্গিতটা ছিল। ইংল্যান্ড প্লেয়াররা পিঠ চাপড়ে দিচ্ছিলেন। হাত মেলাচ্ছিলেন। নামিবিয়ার অলরাউন্ডারও ব্যাট উচিয়ে মাঠ ছাড়লেন। তাঁর সতীর্থদের ভাবভঙ্গীও সেই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। ম্যাচের পরই নিশ্চিত করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তথাকথিত ছোট দেশের বড় প্লেয়ার। ৩৯ বছর বয়স। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচেও যে দাপট দেখালেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই প্রাক্তনী, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ঠ নয়।
বৃষ্টিবিঘ্নিত দশ ওভারের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বল হাতে ২ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে জস বাটলারের উইকেট। তবে আসল কাজটা করলেন ব্যাট হাতে। বোর্ডে ১২৩ রানের টার্গেট। সেটা তুলতে হবে ১০ ওভারে। নামিবিয়ার হয়ে ওপেন করেন মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন ও নিকোলাস ডেভিন। যদিও রানের গতি বাড়ছিল না। জেতার জন্য যা প্রয়োজন, হচ্ছিল না।
নিকোলাস ডেভিন রিটায়ার্ড আউট হয়ে ডেভিড উইজেকে মাঠে নামার সুযোগ করে দেন। মিডল অর্ডারের ব্যাটার উইজে নামেন তিন নম্বরে। একটা সময় ৩০০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করছিলেন। তবে বিশাল লক্ষ্যের সামনে প্রতি বলে মারতে গেলে ঝুঁকি থাকবেই। ১২ বলে ২৭ রানে থামে তাঁর ইনিংস। নামিবিয়া শিবিরে আপশোস থাকতেই পারে, উইজেকে যদি আরও একটু আগে নামানো যেত! নামিবিয়া ম্যাচ হারলেও উইজের ইনিংস প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে।
দেশের জার্সিতে ৫৪টি টি-টোয়েন্টি এবং ১৫টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন। সারা বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দামি অলরাউন্ডার ডেভিড উইজে। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘পরবর্তী বিশ্বকাপের এখনও দু-বছর। আমার এখনই ৩৯ বছর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিরিখে মনে করি না, আমার বেশি কিছু দেওয়ার আছে। ক্রিকেটটা হয়তো আরও এক দু-বছর খেলব। তবে দেশের জার্সি তুলে রাখার এটাই সঠিক সময় মনে হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বেশ কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত রয়েছে। সেটাই আমার প্রাপ্তি।’
শেষ ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবের ভিডিয়ো দেখলেই বোঝা যাবে, সঠিক সময়েই যেন সিদ্ধান্তটা নিলেন। তাঁর মধ্যে আপশোস না থাকলেও নামিবিয়ার ক্রিকেট প্রেমীরা আক্ষেপ করতেই পারেন।