কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতায় কপিল দেব (Kapil Dev)। রয়্যাল ক্যালকাটা গল্ফ ক্লাবে (RCGC) অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নশিপে হাজির ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর গল্ফেই মজে হরিয়ানা হ্যারিকেন। শহরের এই টুর্নামেন্টের না খেললেও গল্ফ (Golf) কোর্স দেখে দূরে থাকেনই বা কিভাবে! তাই গল্ফ স্টিক হাতে কোর্সে নেমে পড়লেন কপিল।
এই শহরে এসে খুব ভালো লাগছে। খেলার প্রতি কলকাতার মানুষের যে টান, তা বরাবরই আমাকে বরাবরই আকৃষ্ট করে।
এটা দুই দেশের কুটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে এ ব্যাপারে। ক্রিকেটাররা এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নেই। বোর্ড বললে, তারা খেলবে, না হলে নয়।
(মজা করে) ওর গল্ফ খেলা উচিত। সবারই গল্ফ খেলা উচিত।
কে অধিনায়ক, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। দল কতগুলো ম্যাচ জিতল সেটা জরুরি। দলের সাফল্যই শেষ কথা। ভারতীয় টিম ব্যক্তি নির্ভর নয় কখনই।
শ্রেয়াসের মতো তরুণ ক্রিকেটারকে টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। অনেক দিন ধরে আইপিএল খেলছে। আর ও টেস্টে শুরুটা করল দারুণ ভাবে।
ভালো মানুষ। ভালো ক্রিকেটার। সবেমাত্র কাজ শুরু করেছে। এখনই ওর পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। দু-তিন বছর সময় দেওয়া দরকার। তারপর ওর পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করব।
৫ বছর ভারতীয় দলের কোচ ছিল। কম সময় নয়। ও নিশ্চয়ই খুব ভালো করে জানে ওর টিমের ব্যাপারে। আর কোনও বিতর্ক নয়।
ওটা আমার ছবি নয়, আমাদের ছবি। আমি আর আমাদের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত। ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ের উপর ছবি। রণবীর সিং আমার চরিত্রে অভিনয় করছে, তাই সামনে এসেছে।
দেশের বাইরের অলরাউন্ডার কেন বাছতে যাব। আমার দেশেই তো অলরাউন্ডার রয়েছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন দারুণ। রবীন্দ্র জাদেজা বোলার হিসেবে দুরন্ত শুরু করেছিল। এখন ও অনেক পরিণত। বেশ ভালো ব্যাটিং করে। তবে আগের মতো বলে সেই ধারটা নেই।
ওকে আমি অলরাউন্ডার হিসেবে ধরছি না এখন। হার্দিক তো বোলিংই করে না। তাহলে কি ভাবে ওকে অলরাউন্ডার বলব? শুধুমাত্র ব্যাটিং দিয়ে কে কতটা ভালো অলরাউন্ডার, তা বিচার করা যায় না।
ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে আগে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছি। জানি, এখানকার ডার্বির গুরুত্ব কতটা। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে হোটেলে ফেরার সময় দেখছিলাম ২ প্রধানের ফুটবলারদের কাট আউট রাস্তা জুড়ে। অবসর সময়ে আইএসএল দেখি। যদি কাল ফাঁকা থাকি অবশ্যই ডার্বি দেখব।
ক্রিকেট ছাড়ার পর জীবনকে এখন অনেক বেশি উপভোগ করি। ক্রিকেট যদি ৫ শতাংশ হয়, জীবন তাহলে ৯৫ শতাংশ। সুতরাং জীবনকে উপভোগ করে যাব।