তিরুবনন্তপুরম: দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে নবরাত্রি। নয় দিন চলবে শক্তির উৎসব। মায়ের পুজো হবে। ভক্তরা মজা করবেন, গরবা খেলবেন। নবরাত্রি উপলক্ষে মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড় জমেছে। এদিকে নবরাত্রির প্রথম দিনে এক দক্ষিণ আফ্রিকানও মন্দিরে গিয়েছিলেন। কথা হচ্ছে প্রোটিয়া তারকা অলরাউন্ডার কেশব মহারাজের। হিন্দু দেব-দেবী সম্পর্কে কেশবের মনে অগাধা আস্থা। দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের সদস্য কেশব ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ এবং তারপর সমসংখ্যক ওডিআই ম্যাচের সিরিজ খেলতে এসেছেন। ভারতে পা রেখেই তিরুবনন্তপুরমের পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে প্রার্থনা করতে চলে যান কেশব। সেই বিশেষ মুহূর্তের ছবিও শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। কেশব মহারাজের ধুতি পরে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে পূজো দেওয়ার ছবি নেটমাধ্যমে ভাইরাল। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন ‘জয় মাতা দি’। সবাইকে নবরাত্রির শুভেচ্ছা।
ভারতের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ রয়েছে কেশবের। ডারবানে ১৯৯০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করা কেশব মহারাজ একজন বাঁহাতি স্পিনার। কেশব মহারাজের পূর্বপুরুষরা কোনও একসময় ভারতে থাকতেন। ১৮৭৪ সালে উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর থেকে কাজ করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁদের। তখন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়ে গিয়েছেন। কেশবের পরিবারে চারজন সদস্য। বাবা-মা এবং এক বোন রয়েছেন। যিনি আবার শ্রীলঙ্কার একজন ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন। কেশব মহারাজের বাবা আত্মানন্দও একজন ক্রিকেটার ছিলেন। যিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেন। আত্মানন্দ কখনো টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাননি। তাঁর দাদাও ছিলেন ক্রিকেটার। প্রোটিয়া স্পিনার হনুমানজির বড় ভক্ত। দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করেও ভারতীয় রীতিনীতি মেনে চলেন। প্রতিটি ভারতীয় উৎসব পালন করে কেশবের পরিবার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ২৮ অক্টোবর তিরুবনন্তপুরমের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। বিমানবন্দর থেকে রোহিত শর্মার দল স্টেডিয়ামে পৌঁছানোমাত্রই সেখানে ভক্তদের ভিড় লেগে যায়। রোহিতদের দেখে অনেকেই সঞ্জু স্যামসনের নামে স্লোগান তোলেন। টি-২০ বিশ্বকাপের দলে সঞ্জু সুযোগ না পাওয়ায় স্থানীয় লোকজন হতাশ। তাই ভারতীয় দলকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন।